ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানিকে পাশ কাটিয়ে এ বছরের নভেম্বরে মাঠে গড়াবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কিন্তু জমজমাট এ টুর্নামেন্টে এবার কোন বাংলাদেশিকে দেখা যাবে না। যদিও সুযোগ ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। কিন্তু চোটের কারণে দল পাওয়া হয়নি তার।
শনিবার এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইভে সাইফউদ্দিন জানান আইপিএলে সুযোগ পেতে পেতে হারিয়েছেন । চেন্নাই সুপার কিংস ও সংরইজার্স হায়দ্রাবাদ আলোচনা করছিলো তাকে নিয়ে। চেন্নাইয়ের কম্পিউটার বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা লক্ষ্মী নারায়ণ বিপিএল কাজ করেছিলেন ঢাকা প্লাটুনের কম্পিউটার বিশ্লেষক হিসেবে।তিনিই চেন্নাই সুপার কিংসের আলোচনায় নিয়েছিলেন সাইফুদ্দিনের নাম। শুধু চেন্নাই না, সাইফকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী ছিলো হায়দ্রাবাদের মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণও, ‘আইপিএলে খেলা তো স্বপ্ন- বলাই যায়। লর্ডসে শেষ ম্যাচ (পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপে) খেলি তখন ভিভিএস লক্ষণ এসেছিলেন আমার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য। আমাদের (বাংলাদেশ জাতীয় দল) কম্পিউটার বিশ্লেষণ তো ভারতীয়- শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। সানরাজার্স হায়দরাবাদে কাজ করে। শ্রীনিবাসের কাছে লক্ষণ জানতে চেয়েছিলেন ও (সাইফউদ্দিন) কেমন হবে। সাজানো সবকিছুকে নষ্ট করে দিয়েছে আমার ইনজুরি।’
লক্ষী নারায়ন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনির কাছে সাইফউদ্দিনের বোলিং ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সাইফ আরো বলেন, ‘প্রায় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়ে যেত। শুনছিলাম আমাকে নিয়ে চেন্নাই আলোচনা করছিল। লক্ষ্মী আমাদের (ঢাকা প্লাটুন) ভিডিও বিশ্লেষক ছিল। ও আমাকে বলেছিল ধোনি তোমার ব্যাপারে কথা বলেছে। আমি বলেছি, তোমরা সবকিছু করো, শুধু আমাদের বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি। সে বলল, দেখো দেখো, আমি মিথ্যা বলছি না। আমি বলেছিলাম, এসব দিয়ে লাভ নেই। আমাদের বড় ভাই-ভাই, কিন্তু আমাদের পেছন দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার মতও হয়। পরে বলল, তোর ব্যাপারে যে ধোনির সাথে কথা বলেছি এই দেখ, বোলিং ভিডিও পাঠিয়েছি, তুই তো আমাকে বিশ্বাস করলি না। পরে দেখলাম ধোনি আমার বোলিং ভিডিও দেখে বলেছে, ঠিক আছে। ওদের পরিকল্পনা ছিল আমাকে নেওয়ার। কিন্তু চোটের কারণে যেহেতু খেলার বাইরে ছিলাম, তাই আর পরে আগ্রহ দেখায়নি। এরপর জশ হ্যাজলউডকে ডাকে।’
অন্য সব ক্রিকেটারের মতো সাউফউদ্দিনও স্বপ্ন দেখতে আইপিএল মাতাবেন। চোট না থাকলে তার এ স্বপ্ন এবারই হয়তো পূরণ হতো। তারপরও ততটা আক্ষেপ নেই তার, ‘আসলে আমার ভাগ্যটা এমনই। বয়সভিত্তিক থেকেই। কখনো প্রথমবারেই আমি সফল হইনি। এটা আমার জন্য অনেক ভালো। কোনো কিছু তাড়াতাড়ি পেয়ে গেলে এর মূল্যটা বুঝবো না।’
Discussion about this post