ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইংল্যান্ডে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। তারপরও এক সঙ্গে উৎসবে মাততে রাস্তায় নেমে আসার। গত ৩০ বছরে যে উপলক্ষ আসেনি, সেই মুহূর্ত যখন এসেছে, তখন লিভারপুল সমর্থকদের কিসের ভয়! বৃস্পতিবার ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে চেলসি হারানোর সঙ্গে সঙ্গে এ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা নিজেদের করে অল রেডরা। এ খবর অ্যানফিল্ডে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দলটির সমর্থকরা মাতে বাঁধভাঙা উল্লাসে।
এরআগে সবশেষবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা উল্লাসে লিভারপুল মেতেছিল ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। এবার ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১৯তম এবং প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ১২৮ বছরের পুরনো ক্লাবটি। বৃহস্পতিবার রাতে চেলসির মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির হারে নিশ্চিত হয়ে যায় লিভারপুলের শিরোপা। অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামের বাইরে নেচে-গেয়ে, বাজি ফুটিয়ে শিরোপা উদযাপন করেছে দলটির সমর্থকরা। সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই অবশ্য ছিল তাদের মাঝে।
শুধু ভক্ত নয়, লিভারপুলের খেলোয়াড়রাও মেতেছিলেন উৎসবে। চেলসি-ম্যান সিটি ম্যাচ দেখার পর একসঙ্গে উৎসব করেছেন গোলকিপার আলিসন, ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক ও মিডফিল্ডার অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন। মার্সেসাইড পুলিশও তাদের আনন্দ মাটি করেনি। যদিও স্থানীয় সময় রাত ১১টায় অ্যানফিল্ডে ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান কনস্টেবল রব কার্ডেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের বাইরে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল।’ তবে তাদের সবাই ‘ভালো প্রকৃতির’ ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই পুলিশ কর্তা লিভারপুল ভক্তদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। কারণ করোনাকালে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশিরভাগ লিভারপুল ভক্ত রাস্তার বের হয়নি।
অ্যানফিল্ডের পথে পথে আনন্দে মাতা লিভারপুল ভক্তরা আগুন জ্বালিয়ে, ক্লাবের পতাকা উড়িয়ে গলায় সুর তুলেছিলেন খেলোয়াড়দের নাম ধরে, যার মধ্যে রয়েছেন ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ও অধিনায়ক জর্ডান হেনডার্সন। অনেক ভক্ত আবার কোচ ক্লপের ছবিযুক্ত প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন।
সময়টা অনেক দীর্ঘ। আনন্দের বহিঃপ্রকাশও তাই অন্যরকম। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসও বেঁধে রাখতে পারেনি তাদের। এ তো কেবল শুরু। আরও বড় উৎসবের অপেক্ষায় এবার অ্যান্ডফিল্ডের সমর্থকরা।
Discussion about this post