ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সময় যত বাড়ছে ঠিক ততটাই যেন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। এরইমধ্যে প্রাণহানিও হয়েছে অনেকে। যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাই সম্মিলিত প্রতিরোধ। চাই সচেতনতা। বাংলাদেশের মানুষকে সেই বিষয়ে সচেতন করতে নিজের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সদ্য ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে সরে যাওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ভিডিও বার্তার মাশরাফি যা বলেছেন তা হবহু তুলে ধরা হল-‘এই মুহূর্তে করণীয় অনেক কিছু আছে। এক হচ্ছে যে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। আল্লাহ’র রহমত প্রার্থনা করা উচিত। এই ধরনের দুর্যোগ থেকে আল্লাহ আমাদের উদ্ধার করুক, সেই প্রার্থনাই এখন চাই।
দ্বিতীয়ত আরো করণীয় জিনিস আছে। প্রবাসী ভাই-বোনেরা যারা বিদেশে থাকেন। যারা এখন দেশে আসছেন। বা যারা বিদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন এখন দেশে এসেছেন, তাদের এখন অনেক কিছু করার আছে। প্রথমত নিয়ম-কানুনগুলো অবশ্যই মেনে চলা। কোয়ারেন্টিন এই শব্দটা ব্যবহার না করে আমি বলব গৃহবন্দী থাকা। আর সেই গৃহবন্দী পরিবার নিয়ে না। আলাদা পুরোপুরিভাবে ১৪ দিন একাকি থাকা। এই ১৪দিন পার হওয়ার পর আপনি যদি অসুস্থ না হন তাহলে আপনার পরিবারকে নিয়েই আপনার ঘরে থাকা। যতদিন না পর্যন্ত ডাক্তার বা উচ্চ পর্যায় থেকে নিরাপত্তার ঘোষণা না আসছে-ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার ঘরে থাকা উচিত। এটা অবশ্য অবশ্যই পালন করতে হবে।
এছাড়াও আমাদের আরো অনেক কিছু করণীয় আছে। সাবান দিয়ে একটু পরপর হাত ধোয়া। নিয়মিত ১৫/২০ মিনিট অন্তর অন্তর পানি পান করা। সেই সঙ্গে নিজের ঘর ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এইসব নিয়ম-কানুনগুলো আমাদের কিন্তু মেনে চলতেই হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এর থেকে আরো কঠিন অবস্থায় গেলে তখন অনেক কিছু মানলেও হয়তো আর সুযোগ আমরা পাব না। আমাদের উচিত এখনই এই প্রতিরোধ গড়ে তোলা। শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়তে হবে। নইলে একটা রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ নেমে আসতে পারে। আমরা কেউ জানি না আমাদের আশে পাশে এই ভাইরাসের জীবাণু বহনকারী কেউ আছে কিনা। আমরা অনেকের হাত ধরছি। অথচ কেউ জানি না এই ভাইরাস কে বহন করছে? এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত আছে কিনা- সেটা বোঝার জন্যই ১৪ দিনের মতো সময় লাগে। এখন এটা গভীরভাবে চিন্তা করার ব্যাপার। আমরা যেটাকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছি না সেটা যদি আকস্মিকভাবে আমাকে, আপনাকে বা আপনার পরিবারকে বা পরিবারের কাউকে অথবা সামাজিকভাবে আঘাত করে, তখন সেটা সামাল দেওয়া খুবই খুবই কঠিন হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই ‘লড়াইয়ে’ জিতি। এখন আমরা সবাই যেন বাসায় থাকি। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরেই যেন না যাই।’
এর একদিন আগে মাশরাফি করোনা সচেতনায় ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’
Discussion about this post