ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অনায়াস জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররা। অল্প রানে আটকে রেখেছিলেন জিম্বাবুয়েকে। এরপর ব্যাটসম্যানরাও হাঁটলেন চেনা পথে। বুধবার সফরকারীদের বিপক্ষে হেসে-খেলে জিতল বাংলাদেশ দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে অনায়াসে, ৯ উইকেটে। ২৫ বল হাতে রেখেই হাসিমুখ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ২০ ওভারে সফরকারীরা ৭ উইকেটে তুলে ১১৯ রান। জবাবে নেমে ১৫.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।
এই জয়ে দুই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল। এর আগে ওয়ানডেতেও ছিল একই ফল। ৩-০তে জেতে বাংলাদেশ। তারও আগে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতে মুমিনুল হকের দল। তিন সংস্করণে এক দফায় একটি দলকে প্রথম হারানোর দৃষ্টান্ত এটি। সব ম্যাচে জয়ও এলো প্রথমবার।
বুধবার হোম অব ক্রিকেটে তামিম ইকবালকে ছাড়াই খেলতে নামে বাংলাদেশ। তার বদলে লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংসে সূচনা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাকে পরখ করে নিতে চাইলেন নির্বাচকরা। সেই পরীক্ষায় নাঈম করলেন ৩৩ রান। ব্যর্থ বলা যাবেনা এই তরুণকে। লিটনের সঙ্গে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ইনফর্ম লিটন দাস ধরে রাখলেন ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা। আগের ইনিংসের মতো এখানেও পেলেন ফিফটি। ৩৫ বলে পা রাখেন অর্ধশতকে। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে অপরাজিত ৬০। সৌম্য সরকার করেন ১৬ বলে ২০ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। যা একটু লড়াই করেন ব্রেন্ডন টেলর। এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান করেন হাফসেঞ্চুরি। সত্যিকার অর্থেই দুঃসময়ে ছিলেন তিনি। ব্যাটে গোটা সিরিজেই ছিল না রান। শেষটায় এসে স্বস্তি পেলেন তিনি। ৩ রানে জীবন পেয়ে টেলর সফরে নিজের প্রথম ফিফটি।
৪৮ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন টেলর। ক্রেইগ আরভিন করেন ২৯ রান। অন্যরা টাইগার বোলারদের তোপে ছিলেন যারপরনাই অসহায়। মাথা উঁচু করে শাসন করলেন বোলাররা।
দুটি করে উইকেট নেন আল আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকে উইকেট না পেলেও ভাল বল করলেন হাসান মাহমুদ।
তাদের গড়ে দেওয়া ভিতেই এসেছে আরেকটি অনায়াস জয়। টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টুয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে দিশেহারা গড়ে দিল বাংলাদেশ দল। বুঝিয়ে দিল এখন তাদের সঙ্গে লড়াইটা এমনই একপেশে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১১৯/৭ (কামুনহুকামউই ১০, টেইলর ৫৯*, আরভিন ২৯, উইলিয়ামস ৩, রাজা ১২, মুতুমবামি ১, মাটোমবোদজি ৩, মাধেভেরে ০, মুম্বা ১*; মুস্তাফিজ ৪-০-২৫-২, সাইফ ৪-০-৩০-১, আল আমিন ৪-০-২২-২, হাসান ৪-০-২৫-০, মেহেদি ৩-০-১৪-১, আফিফ ১-০-২-১)
বাংলাদেশ: ১৫.৫ ওভারে ১২০/১ (লিটন ৬০*, নাঈম ৩৩, সৌম্য ২০*; মাধেভেরে ৩-০-২০-০, এমপোফু ৩.৫-০-২৭-১, মুম্বা ৩-০-২৬-০, সুমা ১-০-১০-০, উইলিয়ামস ৩-০-১৬-০, রাজা ২-০-১৮-০)
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা : লিটন দাস
সিরিজসেরা: লিটন দাস
Discussion about this post