ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
একেই বলে বড় তারকা! দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় তখন ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়। তামিম ইকবাল তেমনটাই করে দেখালেন। সমালোচনার তোপ উড়িয়ে দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন শতরান। সঙ্গে মঙ্গলবার সিলেটে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে হাফসেঞ্চুরি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে-২০১৮ সালের জুলাইয়ে পেয়েছিলেন শেষবারের মতো সেঞ্চুরির দেখা। এরপর কিছুতেই দেখা পাচ্ছিলেন না তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল স্কোরের। ২৩ ইনিংস পর ওয়ানডেতে এই বাঁহাতি এই ওপেনার পেলেন শতক। যা কীনা তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে ১০৬ বলে শতক পূর্ণ করেন তামিম। এর আগে ৪২ বলে ১০ চারে ফিফটি। পরের পঞ্চাশ দেখে-শুনে খেলেন। তাইতো লেগেছে ৬৪ বলে। এই ইনিংস খেলার পথে আরেকটি অর্জন যোগ হলো। মাইলফলক থেকে ৮৪ রানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ শুরু করেছিলেন তামিম। ২৭তম ওভারে জিম্বাবুয়ের ডনাল্ড টিরিপানোকে আপার কাট করে বাউন্ডারি মেরে পা রাখেন ৭ হাজার রানের মাইলফলকে।
বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩, ৫ ও ৬ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো বাঁহাতি ওপেনার দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গেলেন ৭ হাজারে।
এর আগে মুশফিকুর রহিম ফিরে গেলেন ৫৫ রানে। তার আগে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে জুটিতে ফিফটি করেন ৬১ বলে। ৪৭ বলে ফিফটি করেন মুশি।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ফিরে যান ৯ রানে। ৬ রানে আউট নাজমুল হাসান শান্ত। তারপরও বড় স্কোরই গড়ছে দল।
এদিন সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান এখন এই বাঁহাতি ওপেনারের। নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিবকে পেছনে ফেললেন তিনি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব ৪২ ইনিংসে তুলেছেন ১৪০৪ রান। তামিম ৪০ ইনিংসে পেছনে ফেললেন সাকিবকে। ১৩৯৮ রান নিয়ে শুরু হয় তামিমের। তারপর পেলেন সেঞ্চুরি।
এই ম্যাচে জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডে জিতে এগিয়ে থেকেই আজ মঙ্গলবার মাঠে নামল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতেন মাশরাফি। দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে উইকেট ও আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে টাইগার অধিনায়ক শুরুতেই ব্যাটসম্যানদের মাঠে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
Discussion about this post