ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রাওয়ালপিন্ডির যে উইকেটে শুক্রবার নিজেদের ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন, ঠিক সেখানেই শনিবার কি দারুণ ব্যাটিংটাই না করলেন বাবর আজম-শান মাসুদ-আসাদ শফিক। প্রথম দু’জন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অন্যজন তাদের দেখানো পথেই রয়েছেন। তাতে চলতি এ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বড় বিপদেই পড়েছে সফরকারীরা।
শুক্রবার বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৩৩ রান। জবাবে শনিবার দিন শেষে পাকিস্তান তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৪২ রান। বাবর আজম ১৪৩ ও আসাদ শফিক ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ৬৬ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ১১১ রানে একটি উইকেট।
শনিবার বাবর আজমকে শুরুতেই ফিরিয়ে দিতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু এবাদত হোসেনের ক্যাচ মিসের কারণে সেটা পারেনি বাংলাদেশ। এদিকে সেঞ্চুরির আগেই শান মাসুদকে সাজঘরের পথ দেখানোর সুযোগ হাতছাড়া করে টিসম টাইগার্স। তাইজুলের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাস তার ক্যাচ নিলেও বুঝতে পারেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছিল।
বল হাতে শনিবার বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ এনে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহী। এ পেসার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই পাক ওপেনার আবিদ আলিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। কিন্তু ২ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তানের হাল ধরেন শান মাসুদ ও আজহার আলী। দ্বিতীয় উইকেটে তারা রীতিমতো ওয়ানডে মেজাজে খেলে গড়েন ৯১ রানের জুটি। এরপর লাঞ্চের আগে আবু জায়েদের বেশ বাইরের বলে চার মারা লোভ সামলাতে পারেননি আজহার আলী। ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন পর্যন্তই শুধু পৌঁছায়। মানে ক্যাচ হয়ে তিনি ফেরেন ৩৪ রানে সাজঘরে।
লাঞ্চের পরই অবশ্য বাবরের ক্যাচ মিস করেন এবাদত। সে সময় তিনি ব্যাট করছিলেন মাত্র ২ রানে। এরপর জীবন পান শান মাসুদও। ৮২ রানে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিলেও বেঁচে যান এ ওপেনার। এ দুটি ভুলের সদ্ব্যবহার ঠিকই করেছে পাকিস্তান। ৭৪ স্ট্রাইকরেটে ১৩৫ বলে ১৫ চারে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। অন্যদিকে তিন অঙ্কের দেখা পান শান মাসুদ ১৫৭ বলে। শেষ পর্যন্ত এ বাঁহাতিকে চা বিরতির আগের ওভারে বোল্ড করেন তাইজুল।
দুটি সুযোগ হাতছাড়ার মাসুল দিন শেষে ঠিকই দিতে হয়েছে বাংলাদেশের। সে সুযোগে বাবর-আসাদ চতুর্থ জুটিতে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন ১৩৭ রানে। তাদের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা পেয়ে গেছে ১০৯ রানের লিড। যা আগামিকাল সকাল থেকে আরও অনেক বাড়বে, তা বলায় যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ (তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিথুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ২১.৫-৩-৫৩-৪, আব্বাস ১৭-৯-১৯-২, নাসিম ১৬-০-৬১-১, ইয়াসির ২২-২-৮৩-০, হারিস ৬-২-১১-২)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৮৭.৫ ওভারে ৩৪২/৩ (মাসুদ ১০০, আবিদ ০, আজহার ৩৪, বাবর ১৪৩*, শফিক ৬০*; ইবাদত ১৪.৫-২-৭৮-০, আবু জায়েদ ২০-২-৬৬-২, রুবেল ১৭-৩-৭৭-০, তাইজুল ৩৪-৫-১১১-১, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৬-০)
Discussion about this post