ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আগের ম্যাচ ব্যাটিং-ফিল্ডিং ভালো হয়নি। আজ অবশ্য সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠের ক্রিকেটে দাপট দেখাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তার কিছুই দেখাতে পারেনি সফরকারীরা। যে কারণে পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আর তাই ৯ উইকেটে হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ।
লাহোরে শনিবার তামিম ইকবাল একাই করেন ৬৫ রান। কিন্তু বাকিদের মধ্যে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। তাই ২০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে কেবল ১৩৬ রান। রান তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারালেও বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের শতরানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান ২০ বল বাকি রেখেই।
শনিবার টস জিতে বাংলাদেশের ভোগান্তির শুরু ম্যাচের শুরু থেকেই। শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দুই বছর পর ফিরে ওয়ান ডাউনে সুযোগ পান মেহেদি হাসান। কিন্তু এ ডানহাতি মোহাম্মদ হাসনাইনের গতি সামলাতে না পেরে আউট হন বাজে শটে। তবে তামিম ছিলেন এক পাশে। খেলছিলেন ধীরে। কিন্তু ছিল না টি-টোয়েন্টির তাড়া। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান তাই ২ উইকেটে ৩৩। রানের গতিতে দম দিতে পারেননি লিটন দাসও। হারিস রউফকে দৃষ্টিনন্দন একটি চার মারেন, বাকি সময়টা টাইমিং করতে ধুঁকতে দেখা যায় তাকে। তার অবদান ১৪ বলে ৮।
পরে তামিম-আফিফ কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু তারা পারেননি বড় শট খেলতে। যে কারণে রানের গতি বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২১ রান করে ফিরেন আফিফ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও এরপর পারেননি বড় শট খেলতে। সৌম্য সরকারের খুব বেশি করার সুযোগই ছিল না। ভরসা ছিলেন কেবল তামিম। কিন্তু দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানও পারেননি শুরুর ঘাটতি শেষে পুষিয়ে দিতে। এরপর শাদাবকে বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তামিম। ওই ওভারে মারেন আরও দুটি চার। ওই ওভারের পর বাকি ছিল ৪ ওভার। তামিম-মাহমুদউল্লাহ জ্বলে উঠলে হয়তো দেড়শ ছুঁতে পারত বাংলাদেশ। পারেননি কেউই।
বল হাতে আগের ম্যাচের মতোই শুরুতেই উইকেট এনে দেন শফিউল ইসলাম। এহসান আলি আউট হন ৭ বলে শূন্য রান করে। কিন্তু বাংলাদেশের সাফল্যের শেষ ওখানেই। রান রেটের চাপ ছিল না, বাংলাদেশের বোলিং ছিল না ধারাবাহিক। বাবর ও হাফিজ তাই এগিয়েছেন অনায়াসেই। সময় যত গড়িয়েছে, আরও নুইয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে মুস্তাফিজের বলে হাফিজের সহজ ক্যাচ ছাড়েন লিটন। ব্যর্থতার ষোলো কলা তাতে পূর্ণ হয়। ১৩১ রানের অপরাজেয় জুটিতে দলকে জিতিয়ে ফেরেন বাবর ও হাফিজ। বাবর অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৬৬ রানে। এদিকে হাফিজ অপরাজিত থেকে যান ৪৯ বলে ৬৭ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদি ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, বিপ্লব ৮*; ইমাদ ২-০-১৬-০, আফ্রিদি ৪-০-২২-১, হাসনাইন ৪-০-২০-২, রউফ ৪-০-২৭-১, শাদাব ৩-০-২৮-১, মালিক ২-০-৯-০, ইফতিখার ১-০-১২-০)।
পাকিস্তান: ১৬.৪ ওভারে ১৩৭/১ (বাবর ৬৬*, এহসান ০, হাফিজ ৬৭*; মেহেদি ৪-০-২৮-০, শফিউল ৩-০-২৭-১, আল আমিন ৩-০-১৭-০, মোস্তাফিজ ৩-০-২৯-০, বিপ্লব ২-০-১৬-০, আফিফ ১-০-১৬-০, মাহমুদউল্লাহ ০.৪-০-৩-০)।
ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০তে এগিয়ে
ম্যাচসেরা: বাবর আজম
Discussion about this post