ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফর্মে নেই, আগের ম্যাচেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। ঠিক এ অবস্থায় দলে ফিরেই রানের দেখা পেলেন সাব্বির রহমান। যদিও তার লড়াই বিফলেই গেল।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় খুলনা টাইগার্স। এরপর রাইলি রুশো এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। বড় রান তাড়ায় ঝড় তুলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের মারকুটে এ ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শেষ চারের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল খুলনা।
কুমিল্লাকে ৩৪ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ ওভার ৪ বলে ১৪৫ রানে অলআউট কুমিল্লা।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সময়টা ভাল কাটছিল না সাব্বির রহমান। এক ম্যাচে ছিলেন একাদশের বাইরে। ফিরেই দলের তুলেন ঝড়। ৩৯ বলে দুই ছয় ও সাত চারে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। যে কারণে এবারের বিপিএল থেকে কুমিল্লার ছিটকে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা। দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা শান্ত শুরুতে সচল রাখেন রানের চাকা। পরে শট খেলতে শুরু করেন মিরাজও। তাদের জুটি এক সময় ভাঙেন সৌম্য। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করে পয়েন্ট সানজামুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। এর কিছুক্ষণ পরই মিরাজ ফেরেন ডেভিড ভিসাকে উইকেট ছেড়ে স্কুপ করার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে। তার আগে তিনি করেন ৩৯ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩৯।
মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন রুশো। অন্যদিকে মুশফিকও শট খেলেন। দুই জনে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ৪৬ বলে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। সৌম্যর করা ইনিংসের শেষ ওভারে দুই চারে ১২ রান তুলে নেন রুশো। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এ ক্রিকেটার ৩৬ বলে চার ছয় ও ছয় চারে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক দুই চারে ১৭ বলে করেন ২৪।
শুরুতেই রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে শফিউল ইসলামের দারুণ ক্যাচে ফিরেন স্টিয়ান ফন সিল। পরে অধিনায়ক ডেভিড মালানকে দ্রুত বিদায় করেন শফিউল। তবে সাব্বির সাবধানী শুরুর পর খেলতে শুরু করেন শট। দ্রুত জমে যায় ছন্দে থাকা সৌম্যর সঙ্গে তার জুটি। ফ্রাইলিঙ্ককে ওড়ানোর চেষ্টায় সৌম্য সীমানায় ধরে পড়লে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। সে সময় অমন শটের কোনো দরকারই ছিল না।
সৌম্য ফিরলেও সাব্বির খেলছিলেন দারুণ। এক পর্যায়ে দ্রুত রান তুলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে এ ডানহাতি দেন অন্যরকম কিছুর আভাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পরাস্থ করে স্কয়ার লেগে ক্যাচে ফেরান মোহাম্মদ আমির। তার আগে তিনি করেন ৩৯ বলে দুই ছয় ও সাত চারে ৬২ রানে।
সাব্বির ফেরার পর বেশিদূর এগোয়নি কুমিল্লার ইনিংস। দলটি শেষ ৬ উইকেট হারায় কেবল ১৫ রানে। ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ফ্রাইলিঙ্ক জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুটি করে উইকেট নেন আমির ও শহিদুল ইসলাম।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে খুলনা। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এরপরই কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৭৯/২ (শান্ত ৩৮, মিরাজ ৩৯, রুশো ৭১*, মুশফিক ২৪*; সানজামুল ৩-০-২৩-০, আবু হায়দার ২-০-১৭-০, মুজিব ৪-০-২৫-০, আল আমিন ৪-০-৪৫-০, সৌম্য ৪-০-৩৯-১, ভিসা ৩-০-৩০-১)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৮.২ ওভারে ১৪৫ (ফন সিল ১২, সাব্বির ৬২, মালান ১, সৌম্য ২২, মাহিদুল ০, ইয়াসির ২৬, ভিসা ১০, আবু হায়দার ০, সানজামুল ১, মুজিব ০*, আল আমিন ০; আমির ৩.২-০-১৮-২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-১-১৬-৫, শফিউল ৩-০-২৬-১, আলিস ৪-০-৪৯-০, শহিদুল ৪-০-৩৪-২)
ফল: খুলনা টাইগার্স ৩৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রবি ফ্রাইলিঙ্ক
Discussion about this post