ক্রিকবিডি২৪.কম
মূলত একজন অফ স্পিনার হিসেবেই পরিচিত তিনি। কিন্তু সেই মেহেদি হাসান যে সুযোগ পেলে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতেও পারেন, তা হয়তো কেউ জানতো। রোববার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এ তরুণ দেখালেন সেটাই। শেষ পর্যন্ত তার অসাধারণ নৈপুণ্যের কাছেই ৫ উইকেটে হেরে গেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার দিনের ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৬০ রানে থামিয়ে ঢাকা জিতে নেয় ১ বল বাকি রেখে।
দুর্দান্ত স্পেলে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেহেদি। পরে ব্যাট হাতে খেলেন ৭ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। তরুণ অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সই ম্যাচে গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।
১ বল বাকি থাকতে জয় এলেও ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ছিল ঢাকার হাতেই। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। সৌম্য সরকারের করা ওভারের প্রথম ২ বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বল ফুল টস পেয়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন আফ্রিদি। পঞ্চম বলে সিঙ্গেলে আসে জয়।
আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় রোববার চট্টগ্রামের উইকেট ছিল বেশ মন্থর। সেখানে ঘটনাবহুল ইনিংসে দারুণ খেলেন রাজাপাকশে। জম্পেশ লড়াইয়েরই আভাস ছিল ইনিংস বিরতিতে। ম্যাচ শেষে দেখা যাচ্ছে মেহেদী জ্বলে না উঠলে লড়াই এমনকি হতে পারত একপেশেও।
১৬১ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই এনামুল হক বিজয়কে হারায় ঢাকা প্লাটুন। পরে ব্যাট হাতে নামেন মেহেদি তোলেন ঝড়।
রবির এক ওভার তিন ছক্কায় তিনি নেন ২৮ রান। একপাশে কুঁকড়ে ছিলেন তামিম, তবু মেহেদীর ঝড়ে তা টেরই পাওয়া যায়নি। আল-আমিন হোসেনে বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৭ ছক্কায় ৫৯ করে দিয়ে যান মেহেদী। তার এই ইনিংস ঢাকাকে এগিয়ে দেন অনেকখানি পথ।
তবে মেহদী আউট হয়ে ফেরার পর মুজিব দারুণ এক ওভারে রান আটকে দেওয়ার পাশাপাশি তুলে নেন আসিফ আলি আর জাকের আলিকে। শম্বুক গতিতে খেলে ধুঁকতে থাকা তামিমও সৌম্যর বলে আউট হন ৪০ বলে ৩৪ রান করে। কিছুটা চাপ বাড়ে প্লাটুনের। ম্যাচে ফিরার সুযোগ পায় কুমিল্লা। তবে মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ১৬ বলে ২৬ রানে মিনি ঝড়ে ঢাকার সব শঙ্কা দূর করেন শহিদ আফ্রিদি।
এর আগে টস হেরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইঙ্গিত দিয়েও দ্রুতই ফেরেন সৌম্য সরকার। সাব্বির রহমান তার পথ ধরেন ৭ বলে ০ রান করে। পারেননি ডেভিড মালানও। তবে কুমিল্লাকে একাই টেনে নেন রাজাপাকসে। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির আক্ষেপ থেকে যায়। তবে দলকে তিনি এনে দিয়ে ছিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। কিন্তু ম্যাচ শেষে তার দল হেরে বসে এক মেহেদি হাসানের কাছেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৬০/৩ (রাজাপাকশে ৯৬*, সৌম্য ১০, সাব্বির ০, মালান ৯, ইয়াসির ৩০* ; মাশরাফি ০/২১, মেহেদি ২/৯, হাসান ০.৩৪, ওয়াহাব ০/৩২, শাদাম ১/৩২, আফ্রিদি ০/২৩)
ঢাকা প্লাটুন: ১৯.৫ ওভারে ১৬১/৫ (তামিম ৩৪, এনামুল ০, মেহেদি ৫৯, আসিফ ০, জাকের ০, মুমিনুল ২৮* , আফ্রিদি ২৬* ; রবি ১/৪৪, মুজিব ২/২২, সুমন ০/৩৪, আল-আমিন ১/২৯, সৌম্য )
ফল: ঢাকা প্লাটুন ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মেহেদি হাসান।
Discussion about this post