ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বিস্ময়কর এক ক্রিকেটার। যিনি অভিষেকের পর থেকেই আছেন আলোচনায়। ওয়ানডের পর টেস্ট অভিষেকেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন আবিদ আলি। এবার করাচি টেস্টে আরেক কীর্তিতে রেকর্ড বইয়ে ফের জায়গা করে নিলেন পাকিস্তান এই ওপেনার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে এমন কীর্তি কারোরই নেই!
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে আবিদের আগে ছিল মাত্র ৮ ব্যাটসম্যানের। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের ছিলেন না কেউ।
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়েন বিল পন্সফোর্ড। ১৯২৪-২৫ অ্যাশেজে সিডনি ও মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করেন এ অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট। তারপর এই রেকর্ড চার দশক দেখা যায়নি। ১৯৬৫-৬৬ অ্যাশেজে মেলবোর্ন ও ব্রিজবেনে সেঞ্চুরি করেন ডগ ওয়াল্টার্স। ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলভিন কালিচরন, ১৯৮৪-৮৫ মিলিয়ে ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ ব্লিউয়েট, ১৯৯৬ সালে ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি, ২০১৩ সালে ভারতের রোহিত শর্মা ও পরের বছর নিউ জিল্যান্ডের জিমি নিশাম স্বাদ পান প্রথম দুই টেস্টেই শতরানের।
পাকিস্তানি ক্রিকেটার আবিদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কেটেছে ১২ বছর। খেলেন ১০৫টি ম্যাচ। ৭ হাজারের বেশি রান এসেছে ব্যাটে। তার পথ ধরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গেল টেস্টে অভিষেক হয় তার। প্রথমেই করেন সেঞ্চুরি। এবার আরেকটি শতরান পেলেন তিনি।
আবিদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা শান মাসুদও তুলে নেন শতক। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শনিবার পাকিস্তান তুলল ২ উইকেটে ৩৯৫ রান। লিড ৩১৫ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৯.৩ ওভারে ১৯১/১০
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৮৫.৫ ওভারে ২৭১/১০
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১০৪ ওভারে ৩৯৫/২ (মাসুদ ১৩৫, আবিদ ১৭৪, আজহার ৫৭*, বাবর ২২*; বিশ্ব ২১-২-৮৪-০, কুমারা ২২-৫-৮৮-২, এম্বুলদেনিয়া ৩৭-৩-১৩৬-০, দিলরুয়ান ১৭-১-৬৩-০, দনাঞ্জয়া ৭-০-১৯-০)।
Discussion about this post