ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ ভারত সফর বাংলাদেশের শেষ হয়েছে মিশ্র অভিজ্ঞতায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরে টাটাইগাররা হেরেছে টানা চার ম্যাচ। এরমধ্যে দুটি টেস্টে সফরকারীদের পড়তে হয়েছে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায়। এরইমধ্যে দুঃসহ যে স্মৃতি নিয়ে কয়েকজন ক্রিকেটার ফিরেছেন দেশে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। বলতে গেলে তিনিই ছিলেন সদ্যই শেষ হওয়া সফরে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের সবচেয়ে সেরা পারফরম্যার। সেটাকে পুঁজি করেই এ পেসারই আশ্বাস দিয়েছেন ভবিষ্যতে ভালো করার, উন্নতির চেষ্টার কথা।
কলকাতায় দিবারাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে বিভ্রান্ত মনে হয়েছে পুরো দলকে। গোলাপি বলে বল করার অভিজ্ঞতায় অবশ্য তৃপ্ত আবু জায়েদ। স্বীকার করেছেন, পেসারদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। দুই টেস্টের দুই ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া জায়েদের মতে, ‘আরেকটু ভালো হতে পারত। পেস বোলিং যেহেতু দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যদি আমরা আরেকটু ভালো করতাম, দলের জন্য আরও ভালো হতো। গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে ভালো। যেহেতু বলটা একটু বাড়তি সুইং করে। বিশেষ করে পেস বোলারদের জন্য ভালো। এ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতের টেস্টগুলোতে আরও ভালো হবে।’
ভারত সফরে বাংলাদেশের বোলাররা ভালো করতে না পারলেও ভারতীয় পেসাররা ছিলেন দুর্দান্ত। সিরিজে ৩৪ উইকেটই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ভারতের তিন পেসার। আবু জায়েদ জানালেন প্রতিপক্ষের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছেন তিনি, ‘মোহাম্মদ শামির সঙ্গে কথা হয়েছে। কালও আধা ঘণ্টা কথা হয়েছে ওনার সঙ্গে। বেশ কিছু কৌশল দেখিয়েছেন। সেগুলো চেষ্টা করব, আশা করি ভালো কিছু হবে। ফিটনেস নিয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। যেহেতু পেস বোলারদের ফিটনেস ভালো হলে অনেক সময় ধরে বল করা যায়। ফিটনেসেই জোর দিয়েছেন বেশি।’
দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে তলানি। তবে আবু জায়েদের বিশ্বাস আসছে বিপিএল দিয়েই পাকিস্তান সিরিজের আগেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এজন্য সবার এগিয়ে আসার কথা বলেছেন এ পেসার, ‘অবশ্যই আমরা নিজেরা এ নিয়ে কথা বলি। যেহেতু আমি পেসার, আমাদের বিভাগ নিয়েই বলব। এখানে আমরা এসব নিয়ে কাজও করি। হয়তো ফল আসতে একটু সময় লাগবে, তবে আসবেই। আমরা নিজেদের স্কিল উন্নত করার চেষ্টা করি সব সময়। যেহেতু বিপিএল আসছে, বিপিএলের পরই এটা নিয়েও চেষ্টা করব।’
Discussion about this post