ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সেই একই গল্প। লড়লেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের প্রাণ! কিন্তু অন্যরা ফ্লপ। তিনি একা আর কতোটুকু দলকে টানতে পারেন। জয়ে শেষটা রাঙাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হল না। বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারাল পাকিস্তান।
শুক্রবার ক্রিকেটের তীর্থ লর্ডসে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সফররাজ আহমেদের দল। তারা ৯ উইকেট হারিয়ে করে ৩১৫ রান। জবাবে নেমে ৪৪.১ ওভারে ২২১ রানেই অলআউট বাংরাদেশ।
অথচ লক্ষ্যটা নাগালেই বাইরে ছিল না। মুস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলকে ঠিক পথেই রেখেছিলেন। কিন্তু রান তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা গড়তে পারেননি বড় জুটি। সাকিব আল হাসান অন্যরা ব্যর্থ।
এই টাইগার ব্যাটসম্যান ফের করলেন হাফসেঞ্চুরি। এক বিশ্বকাপে ৬০০ প্লাস রান তুললেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাটে শুক্রবার ৬৪ রান। ৮ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচেই ৪০ প্লাস রান। দুটি সেঞ্চুরি, ৫টি হাফ সেঞ্চুরি!
সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে সাকিব তুললেন ৬০৬ রান। গড় ৮৬.৫৭ করে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তার চেয়ে এগিয়ে শচীন টেন্ডুলকার। ২০০৩ বিশ্বকাপে যিনি ১১ ম্যাচ খেলে করেন ৬৭৩ রান। এছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ১০ ইনিংস ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেডেন করেন ৬৫৯ রান।
৬০৬ রানের সঙ্গে এবার সাকিব তুললেন ১১ উইকেট। এখন অব্দি বিশ্বকাপের সেরা অলরাউন্ডার। তবে শেষটা ভাল হল না টাইগারদের। শাহীন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এর আগে বল হাতে চমক দেখান মুস্তাফিজুর রহমান। তুলে নেন ৫ উইকেট। টানা দুই ম্যাচে শিকার করলেন ৫টি উইকেট। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে তার উইকেট সংখ্যা ২০টি। বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি আবদুর রাজ্জাকের থেকে আগের ম্যাচেই কেড়ে নেন তিনি। শুক্রবার আরো উঁচুতে উঠে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে আরেকটি মাইলফলকে পা রাখেন তিনি। ৫৪ ম্যাচে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন দ্য ফিজ।
সাকিব-মুস্তাফিজের দাপটের পরও মিলল না শেষের হিসাব। হারেই শেষ বিশ্বকাপ। এবার তিন জয় নিয়ে ঘরে ফিরবে টাইগাররা। এরইমধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে শেষ হলো মাশরাফি বিন মর্তুজা অধ্যায়। শুক্রবারই শেষবারের মতো বিশ্বকাপের ম্যাচে মাঠে নামেন ম্যাশ।
এই ম্যাচ শেষ হতেই সেমি-ফাইনালিষ্ট ঠিক হয়ে গেল। শেষ চারে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩১৫/৯ (ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, হারিস ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, শাহিন ০*, মিরাজ ১০-০-৩০-১, সাইফ ৯-০-৭৭-৩, মুস্তাফিজ ১০-০-৭৫-৫, মাশরাফি ৭-০-৪৬-০, সাকিব ১০-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৪-০-২৭-০)।
বাংলাদেশ: ৪৪.১ ওভারে ২২১ (তামিম ৮, সৌম্য ২২, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৬, লিটন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ১৬, সাইফ ০, মিরাজ ৬*, মাশরাফি ১৫, মুস্তাফিজ ১; হাফিজ ৬-১-৩২-০, আমির ৭-০-৩১-১, শাহিন ৯.১-০-৩৫-৬, ওয়াহাব ৭-০-৩৩-১, ইমাদ ৬-০-২৬-০, শাদাব ৯-০-৫৯-২)।
ফল: পাকিস্তান ৯৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: শাহিন শাহ আফ্রিদি
Discussion about this post