ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এবারের বিশ্বকাপে সত্যিই বল দলের মতো খেলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাট-বলে দাপটে এরইমধ্যে পেয়েছে তিনটি জয়। হাতছানি দিচ্ছে সেমি-ফাইনালও। তবে মিশনটা বেশ কঠিন। নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে হারাতে হবে ভারত-পাকিস্তানকে। এভাবেই প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিতে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে।
১৪ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌছে গেছে শেষ চারে। শেষ দুই ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পেলে ভারতও সঙ্গী হবে তাদের। বর্তমানে ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে দলটি।
মঙ্গলবার এজবাস্টনে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে সেমির পথে একটু হলেও এগিয়ে যাবে টাইগাররা। তারপর নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫ জুলাই পাকিস্তানকে হারালে টাইগারদের পয়েন্ট হবে ১১। যদিও তারপরও মাশরাফির দলের শেষ চারে ওঠা নিশ্চিত হবে না। নিউজিল্যান্ডের পয়েন্টও ১১। রান রেটেও বাংলাদেশের চেয়ে কিউইরা অনেক এগিয়ে।
বাংলাদেশকে শেষ চারের টিকিট পেতে বুধবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড (৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট) হার কামনা করতে হবে। যদি শেষ পর্যন্ত সেটাই হয় আর নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারে-তবেই সেমি-ফাইনালের চতুর্থ দল হবে বাংলাদেশ।
সেমিতে যদি বাংলাদেশ ওঠে তবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল হবে আরেক সেমি-ফাইনালিস্ট। তখন ইংল্যান্ডের কাছে সেই ম্যাচে হারলেও নিউজিল্যান্ডের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনার একটা পথ খোলা আছে।
আবার ইংল্যান্ডের কাছে নিউজিল্যান্ড হারলেও পয়েন্ট থাকবে ১১। টেবিলেও এ অবস্থা থাকতে পারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোন একটি দলের। এ কারণেই নিউজিল্যান্ডের সেমি-ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত। রানরেটে এগিয়ে তারা। মুখোমুখি লড়াইয়েও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল কিউইরা। তখন ভারত-পাকিস্তানকে হারালেও সেমিফাইনাল খেলা হবে না মাশরাফিদের। তবে একটা সুবিধা আছে বাংলাদেশের। রানরেটে নিউজিল্যান্ডকে টপকে যেত হলে ঠিক কত রান করতে হবে বা কতো ব্যবধানে জিততে হবে সেই হিসেবটা আগাম করার একটা সুযোগ পাবে টাইগাররা।
Discussion about this post