ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে তারা পা রেখেছে ইংল্যান্ডে। পয়েন্ট টেবিলেও আধিপত্য অজিদের। তবে কম যাচ্ছে না বাংলাদেশও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দারুণ এক আত্মবিশ্বাসী দল টাইগাররা। এই দুই দল নটিংহ্যামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় মাঠে নামবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়ে এ টুর্নামেন্টের সূচনা হয় টাইগারদের। তবে এরপরই নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কাছে হারে দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে না পারায় হতাশ হয় টাইগাররা। অবশ্য এরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ৩২২ রানের চ্যালেঞ্জ দাপুটের সঙ্গে জিতে আবারও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাসটা বেশি করে জন্মেছে বাংলাদেশ শিবিরে। গত পরশুই তো টন্টন ছেড়ে নটিংহ্যামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে ওঠার সময় ব্যাপারটি নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আশা আছে… দেখা যাক।’
এই লড়াইয়ের আগে টানা দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান বলেন, ‘গত চার ম্যাচেই আমরা সেরাদের কাতারে থাকা ফাস্ট বোলারদের খেলেছি। সব ম্যাচেই আমাদের প্রতিপক্ষে অন্তত এমন দুইজন বোলার ছিল, যারা ১৪০ কিলোমিটার ছাড়ানো গতিতে বল করে। আমরা যথেষ্টই ভালো মানিয়ে নিয়েছি।’
চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরইমধ্যে এ বাঁহাতি দুটি হাফসেঞ্চুরি ও দুটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
নতুন চ্যালেঞ্জের আগে সাকিব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পেস নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা নেই। আমরা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলেছি। ১৪০-১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা পেসার ছিল দুই দলেই। আমাদের স্রেফ মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে হবে। দল হিসেবে আমরা বেশ স্কিলড এবং সব চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে সামর্থ্য যথেষ্ট আছে।’
ওয়ানডে লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ লড়েছে ২০বার। কিন্তু সেখানে ১ জয়ের বিপরীদে ১৮বারই হার মেনেছে টাইগাররা। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
Discussion about this post