ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিষেধাজ্ঞা শেষে ক্যারিয়ারের নতুন জন্ম হয়েছে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের জাতীয় দলে ফিরেছেন এই দুই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। দু’জনই রোববার যোগ দিয়েছেন অনুশীলনে। তার পথ ধরে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে।
২০১৮ সালের মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে ১ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ-ওয়ার্নার। এ বছরের মার্চে তারা মুক্তি পান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াডে না থাকায় তাদের খেলতে পাঠানো হয় আইপিএলে। যে কারণে এতদিন জাতীয় দলের অনুশীলনও মিস করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক-সহ: অধিনায়ক।
আইপিএলকে জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হিসেবে নেন ওয়ার্নার-স্মিথ। শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার ১২ ম্যাচে ৬৯.২০ গড়ে ৮ হাফসেঞ্চুরি ও ১ সেঞ্চুরিতে ৬৯২ রান করেন ওয়ার্নার। এই সাফল্যে দলে ডাক পেলেন। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘ভারতে (আইপিএলে) ওয়ার্নারের পরিসংখ্যান দেখুন-,হায়দরাবাদের হয়ে ও দুর্দান্ত খেলেছে। সে খুব সম্ভবত আইপিএলের প্রতি মৌসুমেই ৫০০’র বেশি রান করেছে। যেটা অসাধারণ ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দেয়। আশা করি ওয়ানডে ক্রিকেটেও এটি চলমান থাকবে।’
এবারের আইপিএলে স্টিভেন স্মিথ ১২ ম্যাচে ৩৯.৮৭ গড়ে ৩ হাফসেঞ্চুরিতে করেন ৩১৯ রান। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৩।
রোববার জাতীয় দলের অনুশীলনে ফিরেই অ্যাডাম জাম্পা এবং নাথান লিয়নের স্পিন খেলেন স্মিথ। পরে মিচেল স্টার্ক, শন অ্যাবট এবং মাইকেল নেসারের গতিময় বোলিং নেটে সামলান। অন্যদিকে ওয়ার্নার শুধুমাত্র থ্রো ডাউন এবং স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করেন।
সোমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ-ওয়ার্নারের ম্যাচগুলো খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion about this post