ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দাপটে এগিয়ে যাচ্ছে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। শনিবার ফতুল্লায় আবাহনীকে ১৩ রানে হারিয়েছে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। এ জয়ের সুবাদে গাজী ট্যাংক লিগ টেবিলে শেখ জামালের সঙ্গে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
আসলে আবাহনী জিততে যেন ভুলেই গেছে! এটি আবাহনীর টানা ষষ্ঠ হার। শনিবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। ৪৯ ওভারেই ১৮৯ রানে গাজী ট্যাংককে অল আউট করে দেয় তারা। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আল-আমিন ছিলেন সেরা বোলার। ২টি করে উইকেট নেন আলাউদ্দিন বাবু, নাবিল সামাদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জানডের ডি ব্র“ইন। গাজী ট্যাংকের হয়ে সর্বাধিক ৪২ রান করেন রকিবুল হাসান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩৯ এবং স্কট স্টাইরিস ৩০ রান করে যান।
জয়ের জন্য ৪৯ ওভারে আবাহনী ১৯০ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেই থেমে যায়। গাজী ট্যাংকের সেরা বোলার কিউই অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম। ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও মোহাম্মদ শহীদ ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ শেষে মাঠে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের কর্মকর্তারা বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ করেন। গাজী ট্যাংকের ইনিংসে সব মিলিয়ে ছয়টি এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা। এর মধ্যে একজন আম্পায়ারই পাঁচটি এলবিডব্লিউ আউট দেন! উল্টো দিকে আবাহনীর ব্যাটিংয়ের সময় গাজী ট্যাংকের একাধিক আউটের আপিল আম্পায়াররা বাতিল করে দেন। মাঠে আম্পায়ারের এ নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব দেখে দলের বিদেশিরা পর্যন্ত লজ্জিত হয়ে পড়েন! ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং দেখে হতাশা প্রকাশ করেন গাজী ট্যাংকের বিদেশি ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষে গাজীর কিউই ক্রিকেটার জ্যাকব ওরাম এতই হতাশ হয়ে পড়েন যে, আম্পায়ারের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে অস্বীকৃতি জানান!
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
গাজী ট্যাংক : ১৮৯/১০, ৪৯ ওভার (উমান ১০, ইমরুল ৩৯, স্টাইরিস ৩০, রকিবুল ৪২, হামিদুল ১১, নাঈম জুনিয়র ১১, শহীদ ১০, আরাফাত সানি ১৪*; আলাউদ্দিন বাবু ২/৪০, নাবিল সামাদ ২/২৮, ডি ব্র“ইন ২/৩৯, আল-আমিন ৩/২৭)।
আবাহনী : ১৭৬/৮, ৪৯ ওভার (নাফীস ১৯, ব্র“ইন ১৫, কান্ডাম্বি ৪৪, আল-আমিন ৩৭, আলাউদ্দিন বাবু ২৪; ওরাম ৩/৩৯, নাঈম ২/৪১, শহীদ ২/৩৯। ফল : গাজী ট্যাংক ১৩ রানে জয়ী।
Discussion about this post