ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সেই এশিয়া কাপ থেকে শুরু। ইনজুরি নিয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও দেখা যায়নি তামিম ইকবালকে। এমন কী ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টও মিস করেন তিনি। নিজ শহর চট্টগ্রামে মাঠে নামা হয়নি। এরইমধ্যে ৩০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে দেখা যাচ্ছে না মাঠে।
কারণ অনুশীলনে কোমরে নতুন করে ব্যথা পাওয়া তামিম এখনো পুরোপুরি ফিট নন। চট্টগ্রাম টেস্টের আগেই দল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তবে বাঁহাতি এ ওপেনার আশায় ছিলেন ফিরবেন ঢাকা টেস্টে। যদিও সিরিজের শেষ টেস্টে তাকে পাওয়া নিয়ে এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু রোববার বলেন, ‘এখনো ফিজিওর কাছ থেকে আমরা তামিমের পুরোপুরি আপডেট পাইনি। যতটুকু জেনেছি ওর রিকভারি দ্রুত হচ্ছে। আশা করছি যে যদি দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে না পারে তাহলে ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচ থেকেই পাবো।’
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গেল এশিয়া কাপের শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সময় হাতে চোট পেয়ে ছিটকে যান তামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগেই অনুশীলনের সময় কোমরে নতুন করে চোট পান এই ওপেনার। যে কারণে জাতীয় দলের জার্সিতে চট্টগ্রাম টেস্টে ফিরতে পারেননি তিনি। শুক্রবার সফরকারীদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নামবে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খুব করেই চাইছেন ঐ ম্যাচে খেলুক তামিম। এনিয়ে তামিম বলেন, ‘সুস্থ হতে সব রকম চেষ্টায় করেছি। সে কারণেই দুঃখটা বেশি। মাঝে সাইড স্ট্রেইনটা না হলে হয়তো বলতে পারতাম যে দ্বিতীয় টেস্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) খেলবই। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। নেটে আজ স্পিন খেলেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। সোমবার থেকে পুরোদমে নেট করব। তখন আসলে বুঝতে পারব চোটের কী অবস্থা।’
তামিম ভুগছেন কোমরের চোটে। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘আঙুল একদম ঠিক আছে। ভয় শুধু সাইড স্ট্রেইনটা নিয়ে। ওয়ানডে হলে ভিন্ন ব্যাপার ছিল। কিন্তু এটা টেস্ট ম্যাচ। সে ক্ষেত্রে আবার যদি চোট পাই তাহলে পাঁচ-ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে পড়তে হবে।’
শেষ পর্যন্ত যদি ঢাকা টেস্টে না খেলতে পারেন তামিম, তবে সফরকারীদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিরবেনই তিনি। যদিও তামিম ইকবাল না থাকায় ওপেনিংয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। এ সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে চার ইনিংসের একটিতেও হাফসেঞ্চুটি করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ওপেনার।
Discussion about this post