ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
পরিসংখ্যান তার হয়ে কথা বলছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টে শতরান হাঁকিয়ে নিজেকে মুমিনুল হক নিয়ে গেছেন ইর্ষণীয় উচ্চতায়। তামিম ইকবালের সঙ্গে তারও এখন অর্জন আট সেঞ্চুরি। দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ড দখলে এই দুই ব্যাটসম্যানের। এদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ১২০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
এই ইনিংসেই তামিমের রেকর্ডে ভাগ বসান কক্সবাজারের এ ব্যাটসম্যান। ৩২ টেস্টে ৮ সেঞ্চুরি তার। তামিম ইকবাল ৫১ টেস্টে সশতরান শতক হাঁকিয়েছেন। একইসঙ্গে এ বছর তার ব্যাট থেকে ে্সেছে ৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি। এমন রেকর্ড আছে ভারতের বিরাট কোহলির। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটা আসতেই
মুমিনুল বলেন, ‘তামিম ভাইয়ের সাথে তুলনা করার প্রশ্নই আসে না। তিনি আমাদের দেশের, ক্রিকেট বিশ্বের অন্য লেভেলের ব্যাটসম্যান, আমার কাছে মনে হয় তুলনা করা ঠিক না। বিরাট কোহলি তো আরও উঁচুতে। এইসব নিয়ে চিন্তা করি না আমি।’
অথচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সময়ে বেশ বিপাকে ছিলেন তিনি। অনেকেই তার ক্যারিয়ারের শেষের শঙ্কায় ছিলেন। তিনি চলে যেতেই করলেন ৪টি শতরান। টাইগারদের সাবেক কোচকে কি জবাব দিচ্ছেন তিনি? মুমিনুল হক বলেন, ‘এখানে দেখানোর কিছু নেই। হয়তো এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। মানুষের লাইফে ছোট ছোট স্ট্রাগল আসে, ঐ স্ট্রাগল থেকে যে যেভাবে পারে শিক্ষা নেয়। আমার কাছে মনে হয় ওই জিনিসটা আমার জন্য ভালো ছিল। আর ওইভাবে চিন্তা কোন সময় করি নি যে হাথুরুসিংহেকে দেখানোর জন্য ভালো খেলতে হবে। দিনশেষে আমাকেই মাঠে খেলতে হবে বাংলাদেশ দলের জন্য।’
এখনো ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুমিনুল। এনিয়ে জানালেন ‘আগের টেস্টেও যেমন ১৬০ করে আউট হয়েছি, তখনও ছিল। যখনই আক্ষেপ থাকবে না, তখন আপনি ওই একই জায়গায় থেকে যাবেন। আপনার যদি ক্ষুধা না থাকে পারফর্ম করার তাহলে আপনি একই জায়গায় থেকে যাবেন। আক্ষেপ সবসময় থাকে। যখন শুন্য করে আউট হই আবার একশ করি তখনও আক্ষেপ থাকে।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম হয়তো মুমিনুলের স্পেশাল ভেন্যু। এখানে পেলেন ৬ শতক। এখানে সাফল্যের রহস্যটা কি? মুমিনুল বলেন, ‘জানি না আল্লাহর রহমত আছে এই কারণে। এটা কোন সময় চিন্তা করি নি, এই মাঠে আসলেই সেঞ্চুরি করতে হবে এমন কিছু না।’
Discussion about this post