ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তখন চলছিল মিরপুর টেস্ট। ঠিক তখনই সাকিব আল হাসানকে দেখা গেল দৌড়ে ইনডোরের দিকে যেতে। সেখানে এ বাঁহাতি করলেন কিছুক্ষণ ব্যাটিং। শেষ বিকেলে করলেন রানিং। তার মানে সুস্থ হয়ে উঠছেন টাইগার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। আশার এমন কথা নিজ কন্ঠেও বুধবার শুনিয়েছেন মাগুরার এ ক্রিকেটার। তারপরও তাড়াহুড়ো নেই তার।
বাঁহাতের কনিষ্ঠায় সাকিব চোট পেয়েছিলেন গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শুরুর দিকে। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে রুপ নেয়া ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। ফিরেছিলেন দেশে। মূলত এরপর থেকেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় রয়েছেন এ বাঁহাতি। তারই অংশ হিসেবে বুধবার নেটে ব্যাটিং করেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। যদিও পুরোদমে নেট সেশন নয়, ব্যাট করেছেন নাজমুল ইসলাম অপু, বোলিং কোচ সুনীর যোশির স্পিনে। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বলেন, ব্যাটিংয়ে কোন সমস্যা মনে হচ্ছে না, ‘স্পিন দিয়ে ধীরে ধীরে আজই শুরু করলাম। প্রথম দিন হিসেবে ভালোই মনে হলো। ব্যথাটা সেভাবে বোঝা যায়নি। সামনে যখন পেস বাড়বে, ভলিউম বাড়বে, তখন বোঝা যাবে। এভাবে এগোতে থাকি, দেখা যাক কী অবস্থা হয়। প্রথম দিন হিসেবে আমি বলব, অনেক ভালো।’
আগামী ২২ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজে প্রথম টেস্টে নামবে বাংলাদেশ। সাকিব কি এই সিরিজ দিয়ে ফিরবেন ২২ গজে? প্রশ্নটি অবশ্য বুধবারেউড়ে গেল তার কাছে। কিন্তু ষ্পষ্ট করে এ ব্যাপারে তেমন কিছু বলেননি এ বাঁহাতি, ‘সবই আস্তে আস্তে শুরু হবে। কাল-পরশু থেকে হয়তো ফিল্ডিং ও বোলিং শুরু করব। সব কিছুর জন্য সময় লাগবে। একবারেই সব শুরু করা সম্ভব হবে না। উন্নতি হতে থাকলে ম্যাচ খেলার কথা চিন্তা করবো।’
এতদিন হাতের আঙুলের জন্য ব্যাট হাতেই নিতে পারেননি সাকিব। কিন্তু বুধবার বেশ ভালভাবেই নেটে ব্যাট করেছেন তিনি। তাতে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন টাইগার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কিন্তু এখনই বুঝতে পারছেন না খেলার মতো ফিট হয়েছেন কি না, যা বুঝতে হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে তার।
এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ভালো ব্যাপার হলো যে ব্যথা অনুভব করিনি। বেশ ভালো অনুভব করিছি। এরপর পেস বাড়ার পর বুঝতে পারবো কী হচ্ছে। জলদি করা যাবে না। এটা হলো প্রথম কথা। কয়েক দিনের ভেতরে বুঝতে পারব, কী হবে।’
Discussion about this post