ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সিলেট টেস্টের ব্যর্থতা মুছে ঢাকায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। নতুন আলোয় উদ্ভাসিত লাল-সবুজের প্রতিনিধরা। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্ধী দল পেল আলোর দেখা। আগের আট ইনিংসে দেখা মিলেনি দলীয় দুই রানের। এবার মুশফিক একাই খেলেছেন দুইশ ছাড়ানো ইনিংস। সব মিলিয়ে ঢাকা টেস্টের ড্রাইভিং সিটে টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে এগিয়ে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টে মুশফিকের অপরাজিত ২১৯ রানে সুবাদে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৬৮ রানে অপরাজিত মেহেদি হাসান মিরাজ। মুশফিকের ব্যাটে রেকর্ড গড়া ২১৯ রান। আর সোমবার দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ১ উইকেটে ২৫ রান। সফরকারীদের চেয়ে এগিয়ে ৪৯৭ রানে দল।
সোমবার সকালে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর(০*) সঙ্গে (১১১*) মুশফিক দেখে-শুনে খেলে দলকে নিয়ে যান নিরাপদে। লাঞ্চের পর্যন্ত ৩০ ওভারে বাংলাদেশ রান তুলতে পারে ৬২ রান। ৩৬ রানে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ।
৩৩৪ বলে ৪ চারে দেড়শ রানে পৌঁছান মুশফিক। মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে মুশফিক রান তুলেন দ্রুত। ৬৪ বলে অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ৫০ রানের জুটি। পরের বাকি ৫৭ বলে এ জুটি আরও ৫০ রান যোগ করে গড়েন ১০০ রানের জুটি। মিরাজ ৭৮ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে করেন ৫০ রান। চা বিরতির পরপরই মুশফিক তুলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। খেলেন ৪০৭ বল।
২১৯ রানে থামেন মুশফিক। যা কীনা দেশের কোন ব্যাটসম্যানের টেস্টে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। স্বীকৃত উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এ ডানহাতি। তার আগে টেস্টে উইকেরক্ষকদের মধ্যে একটি করে রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন- ইমতিয়াজ আহমেদ, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, তসলিম আরিফ, ব্রেন্ডন কুরুপ্পু ও মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬০ ওভারে ৫২২/৭ ডিক্লে. (মুশফিক ২১৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ৪, মিরাজ ৬৮*; জার্ভিস ৫/৭১, চাটারা ১/৩৪, টিরিপানো ১/৬৫)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ২৫/১ (মাসাকাদজা ১৪, চারি ১০*, টিরিপানো ০*; তাইজুল ১/৫, )
Discussion about this post