ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আরো একবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন তাকেই কেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয়! দারুণ ধৈর্য নিয়ে চাপের মুখে খেলে গেলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ইতিহাস গড়েই সাজঘরে ফিরলেন মুশফিকুর রহীম।
আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরিই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলে ফেলেন তিনি। ৫ বছর আগে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে এর আগে হাঁকিয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। সোমবার গড়লেন অনন্য এক রেকর্ড।
ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র উইকেটরক্ষক–ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড কারোর। আর ২১৯ রানের এই ইনিংসে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সাকিব আল হাসানকে (২১৭) পেছনে ফেললেন মুশফিক।
মুশির এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের টাইগাররা রান পাহাড়ে চড়ে বসে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১ম ইনিংসে ৫২২ রানের বড় গড়ে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ মুশফিকুর রহিমের রেকর্ডের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসানের ২১৭ রান টপকে যেতেই ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এটি বাংলাদেশের হয়ে সময়ের হিসেবে সবচেয়ে লম্বা টেস্ট ইনিংস। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের রেকর্ড ভাঙ্গেন মুশফিক। ঢাকা টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিতে সময়ের সেই হিসেবেও আমিনুলকে পেছনে ফেলেন তিনি। ২০০০ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজের ১৪৫ রানের সেঞ্চুরির ইনিংসে আমিনুল সময় নেন ৪৩৫ মিনিট। মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ৫৬৪ মিনিট খেলে। অপরাজিত ২১৯ রান নিয়ে মুশফিক যখন ফিরছেন তখন প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়কাল ছিল ৬৪৪ মিনিট। এরমধ্যে রেকর্ড ৫৮৯ মিনিটই ব্যাটিং করেন মুশফিক!
সোমবার ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটিই টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগের সেরা ছিল ৫০৩। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে এই ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ।।
ইনিংস ঘোষণার সময় মুশফিক ২১৯ ও মিরাজ ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৪৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬০ ওভারে ৫২২/৭ ডিক্লে. (মুশফিক ২১৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ৪, মিরাজ ৬৮*; জার্ভিস ৫/৭১, চাটারা ১/৩৪, টিরিপানো ১/৬৫)
Discussion about this post