ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অবশেষে স্বস্তির পরশ। হাসিমুখে বাংলাদেশে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। আঙুলের চোটে দুই সপ্তাহর বেশি সময় শঙ্কায় ছিলেন তিনি। রোববার সুখবর নিয়ে মেলবোর্ন থেকে ঢাকায় দেশে ফিরলেন তিনি। ৯ দিন আগে অবশ্য শঙ্কা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া যান টাইগার টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক।
রোববার পৌনে ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মেলবোর্ন-সিঙ্গাপুর হয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখেন সাকিব। দেশে ফিরে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখন ইনফেকশনটাও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইনফেকশনের অবস্থা জেনে নিতে হবে। ইনফেকশন বাড়লো কিনা বা নতুন কোনো সমস্যা দেখা দিলো কি-না। তবে এটুকু বলতে পারি এখনও পর্যন্ত ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণেই আছে। চিন্তার কিছু নেই। আঙুলের অবস্থা এখন খুবই ভালো। কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। শুধু সময়ের ব্যাপার কতদিনে আমার আঙুলের শক্তি ফিরে আসে।’
এখন বিশ্রামে থাকবেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘কবে ফিরতে পারব, আসলে কোনো সময় বাঁধা নেই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের শক্তি কতক্ষণে ফিরে আসে। পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার পুনর্বাসনের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার অপেক্ষা করতে হবে।’
এরইমধ্যে শুরু হয়েছে পুনর্বাসন। সাকিব বলেন, ‘পুনর্বাসন অস্ট্রেলিয়া থাকতেই শুরু করেছি। ওখানে হ্যান্ড থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। উনি যেভাবে বলেছে সেভাবে ফলো করে করে কাজ করতে হবে। যত বেশি করা যাবে তত আমার জন্য ভালো। যত বেশি করে করে হাতের শক্তিটা আবার আনা সম্ভব সেটাই এখন মূল উদ্দেশ্য।’
গত ৫ অক্টোবর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন সাকিব। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহখানেক হাসপাতালে ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার রিপোর্ট ভাল আসায় হাসপাতাল থেকে ছুটি পান এ তিনি।
কয়েকদিন পরই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে সাকিবকে পাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা-মুশফিকুর রহীমরা। পরের মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগার টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ককেও মিস করবেন তারা। তবে আশার কথা, চোটের উন্নতির উপরই দেশসেরা এ অলরাউন্ডারের মাঠে ফেরাটা নির্ভর করছে। সেটা হতে পারে আগামী মাসেও। সাকিব জানান ‘এটা আসলে এমন একটা প্রবলেম যেটার আসলে কোনো টাইম ফ্রেম নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের স্ট্রেন্থ কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি।’
Discussion about this post