ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তার বড় পরিচয় একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার। কিন্তু ব্যাট হাতেও যে তিনা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ মিলল। ঠিক নিজের ২০তম জন্মদিনেই রান ফোয়ারায় মুগ্ধ করলেন সবাইকে। রশিদ খানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই সর্বনাশ হল বাংলাদেশের। রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল আফগানিস্তান। টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নেমে তারা তুলেছে ৫০ ওভারের ৭ উইকেটে ২৫৫ রান।
ম্যাচে হাশমতুল্লাহ শহিদি ও রশিদ খান তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ২০তম জন্মদিনে (২০ সেপ্টেম্বর) চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন রশিদ। এশিয়া কাপের গুরুত্বহীন এই ম্যাচে জিততে বাংলাদেশের দরকার ২৫৬ রান।
শুরুতে অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি তারপর সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দাপটই ছিল টাইগারদের। কিন্তু শেষ দিকে ম্যাচের গুলবুদ্দিন নাইব ও রশিদ খান হিসেবের ছকটা উল্টে দেন। তাদের অসাধারন ব্যাটিংয়েই এখন বিপাকে দল। গুলবুদ্দিন তুলেন ৪২ রান করেন ৩৮ বলে। রশিদ খান খেলেন ৩২ বলে ৫৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। অষ্টম উইকেট জুটিতে তারা জমা করেন ৯৫ রান। আর শেষ দশ ওভারে আফগারা তুলে ১ উইকেট হারিয়ে তুলে ৯৭ রান।
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে বল তুলে দেন আসগার আফগান। অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা আবু হায়দার রনি অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরার আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহর উইকেট। লীয় ষষ্ঠ ওভারে আউট করেন রহমত শাহকে।
৩৭ রান করা শাহজাদ সাকিবের বলে রনির হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে। হাশমতউল্লাহ ৯২ বলে তিন চারে ৫৮ রান করেন।
সাকিব ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আবু হায়দার নেন ২ উইকেট।
শেষ রাউন্ড ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে রানার্সআপ করে দিয়েছে এসিসি। ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতেই বিকর্তিত এই কাণ্ড করে তারা। ম্যাচে ছিলেন না তামিম ইকবাল। বিশ্রাম পান মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান। এ সুযোগে দলে জায়গা মিলে আবু হায়দার রনি ও নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হকের।
Discussion about this post