ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এরচেয়ে বাজে বুঝি আর হতেই পারতো না। টেস্ট সিরিজের শুরুতেই ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশের। ৪৩ রানে হার ও হোয়াইট ওয়াশের পর মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে হয়তো মাথা নীচু করেই ফিরতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। কিন্তু বিপর্যয়ের মুখে থেকেও ওয়ানডেতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এমন কী টি-টুয়েন্টিতেও দুর্দান্ত খেলেছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা দলটাকে জাগিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দেশে ফিরে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে মাশরাফির বড় ভুমিকার কথাই শোনালেন তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে কথা বললেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তামিম জানান, ‘টেস্ট সিরিজের পর স্বাভাবিকভাবেই খুব চাপে ছিলাম আমরা। আমাদের জন্য ওয়ানডে সিরিজটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডেতে অধিনায়ক মাশরাফি ভাই এলেন। পাল্টে গেল সবকিছু। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে উনার বড় অবদান ছিল। উনি হয়ত কারও হাত ধরে ব্যাটিং বা বোলিং করে দেননি। কিন্তু দলের আবহ বদলে দিতে অনেক সাহায্য করেছেন।’
প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়ে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। সিরিজ জিততে তাই শেষ ম্যাচে জিততেই হতো দলের। সেখানেও দলকে উজ্জীবিত করেছিলেন মাশরাফি। তামিম বলছিলেন, ‘আমরা প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজটা জয় করে নিতে পারলে জন্য ভালো হতো। গায়ানার উইকেট আমাদের পাশে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ হারার পর আমরা সবাই মিলে বসেছিলাম। মাশরাফি ভাইয়ের অনেক বড় ভুমিকা ছিল তখন। দেখুন, আমরা যদি আগে থেকেই চিন্তা করে নেই ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে, তাহলে খেলার আগেই হেরে যাব। অমন ভাবলে খেলার আর কোনো মানে হয় না।’
এখানেই শেষ নয়, মাশরাফি বন্দনায় তামিম ইকবাল আরো বলেন, ‘তিনি দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পরিবর্তন করতে অনেকে সাহায্য করেছেন। একটা বাজে টেস্ট সিরিজের পর প্লেয়ারদের মধ্যে অনেক নেতিবাচক মনোভাব থাকে, পরিস্কার মনোভাব থাকে না। তিনি যেই ইতিবাচক মনোভাবটা নিয়ে এসেছেন, সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটা বড় কারন ছিল। এরপর যেভাবে করে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা খেললাম, কঠিন উইকেটে আমরা কোন সময় হাল ছেড়ে দেয়নি।’
Discussion about this post