একদিন আগেই দুঃসংবাদটা শুনেছেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন ও কামরুল ইসলাম। আর এমন সময়ে তাদের সাহস জোগালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বিসিবির চুক্তি থেকে ৬ ক্রিকেটারের বাদ পড়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। এনিয়ে মাশরাফির বলেন, ‘প্রথমত, যত দিন ধরে খেলছি- বেতনের ভেতর আছি কি নেই, এসব নিয়ে ভাবিনি। আমার কাছে এটা কখনোই পরিষ্কার নয়। আমার সব সময়ই প্যাশন ছিল ক্রিকেট খেলা। ওই প্যাশন নিয়ে ক্রিকেট খেলছি।’
বাদ পড়াদের নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘দেখুন, ওরা বাংলাদেশ দলের সত্যিকারের ভবিষ্যৎ, তাদের সমর্থন করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমার জায়গা থেকে আমি পিছপা হব না। যত প্রকার সমর্থন দেওয়ার তাদের দেব। জানি বাংলাদেশের এত বেশি বিকল্প খেলোয়াড় নেই। ধারাবাহিকতা বাড়িয়ে যদি তারা ফর্মে ফিরে আসে, লম্বা সময় ধরে তারা বাংলাদেশকে সেবা দিতে পারবে। একসময় সাকিব-তামিম বা আমরা এমনই ছিলাম। বলতে পারেন, ওই সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটা ছিল না বলে আমরা টিকে গেছি।’ সঙ্গে ম্যাশ আরো যোগ করেন, ‘তাদের কাছে প্রত্যাশাটা অনেক। একটু খারাপ করলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোচ্চার হয়ে ওঠে। ক্রিকেট খেলাটা এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ছোটখাটো বিষয়ে অনেক বেশি সমালোচনা হয়। ২২-২৩ বছর বয়সে এত সমালোচনা নিয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারও বেড়ে ওঠাও তো এত পেশাদারির মধ্যে হয় না। আমরা সিনিয়ররা যারা আছি, তাদের সহযোগিতা করব। তাদেরও চেষ্টা করতে হবে, তারা যেন নিজেদের সেরা ফর্মে আসতে পারে।’
বোর্ডের চুক্তিতে থাকটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ওয়ানডে অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘বেতন একজন খেলোয়াড়ের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। পরিবারের ওপর বেতন বা তার খেলার বিরাট প্রভাব থাকে। তবে সিদ্ধান্তটা বোর্ডের। কজনকে বেতন দেবে না দেবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত। একটা খেলোয়াড়ের জন্য বেতন (চুক্তিতে থাকা) গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে তাকে ততটুকু আবেগ দিয়েও খেলতে হবে।’
নতুন চুক্তিতে রয়েছেন: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
Discussion about this post