ইচ্ছে করলেই দ্বায়িত্বে থেকে যেতে পারতেন তিনি। বল টেম্পারিংয়ের কেলেঙ্কারির উত্তাল সময়ে স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারের ওপর নিষিদ্ধ হলেও তার চাকরিটা আপাতত নিরাপদই ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন ড্যারেন লেম্যান। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। স্টিভেন স্মিথের কান্না ভেজা চোখ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। পদত্যাগের ঘোষণাটি দিতে পেরে বুক থেকে যেন পাথর নেমে গেল তার। বলছিলেন, ‘আমি আমার অবস্থান সম্পর্কে জানি। পদমর্যাদা অনুযায়ী দলের সব দায়-দায়িত্ব আমার উপর বর্তায়। এর আগে গত বুধবার বলেছিলাম, পদত্যাগ করবো না। তবে আজ স্মিথ ও ব্যানক্রফটের কান্নায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হল।’
এখানেই শেষ নয়, সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, ‘এখানে যারা বসে আছেন, তাদের অনেকেই জানেন, জীবনে চলার পথে ভালোবাসার মানুষদের থেকে অনেকটা সময় দূরে থাকতে হয়। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, আমি মনে করছি এটাই সঠিক সময়। আশা করছি, অস্ট্রেলিয়া দল আবারও গড়ে উঠবে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষও এই তরুণ ছেলেটিকে আর তার পেছনের একাদশকে ক্ষমা করে দেবে।’
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার কলঙ্কিত দুই ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার জানান, এই ঘটনার কিছুই জানতেন না তাদের কোচ। তারপরও সরে দাঁড়ালেন। জানালেন জোহানর্সবার্গ টেস্টেই হবে অজি দলের হয়ে তার কোচিং ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
ওয়ান্ডারার্সে আবাগী লেম্যান বলেন, ‘জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন টেস্টটিই হবে অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে তার শেষ টেস্ট। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিদায় নেয়াটা খুব কষ্টের কাজ, যা আমি করেছি।’
২০১৯ সালের অ্যাশেজ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান দলের সঙ্গে লেম্যানের চুক্তি ছিল। কিন্তু তার আগেই অনাকাংখিত ঘটনার মধ্য দিয়ে পদত্যাগ করলেন তিনি।
Discussion about this post