শেষ পর্যন্ত অল্পতেই রক্ষা পেলেন সাকিব আল হাসান এবং নুরুল হাসান সোহান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয়ের ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার জন্য দু্ই জনকেই ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট। ২০১৬ সালে ডিমেরিট পয়েন্ট চালু হওয়ার পর এই প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সাকিব-নুরুল।
ম্যাচের শেষ প্রান্তে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেনকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে ইশারা দেন অধিনায়ক সাকিব। আবার একাদশের বাইরে থাকা নুরুল শ্রীলঙ্কার বেশ কজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। অধিনায়ক থিসারা পেরেরার দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে।
এ কারণেই শনিবার সকালে সাকিব আর নুরুল দুজনই ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের শাস্তি মেনে নেন। এজন্য আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
ম্যাচের শেষ ওভারে ঘটে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। জয়ের জন্য সেই ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ইসুরু উদানার প্রথম বল বাউন্সার। মুস্তাফিজ ব্যাটে বল ছোঁয়াতে পারেন নি। পরের বল আবারো বাউন্সার। এবারো রান নেই। অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট দ্য ফিজ।
নিয়ম অনুযায়ী টি-টুয়েন্টিতে ওভারে সর্বোচ্চ একটি বল কাঁধের ওপর দিয়ে করা যায়। এ কারণেই মাহমুদউল্লাহ লেগ আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেতও দিয়ে দেন।
এরপরই প্রতিবাদ করে লঙ্কানরা। আম্পায়ারকে ঘিরে ধরে তারা। তারপরই মূল আম্পায়ার ‘নো’ তুলে নেন। তখন মাঠের বাইরে রাগে ফেটে পড়েন সাকিব। কিন্তু আম্পায়াররা নো বল দিতে রাজি নন। এ পর্যায়ে ব্যাটসম্যানদের উঠে আসতে বলেন তিনি। যদিও সেই পথে হাটেনি ম্যাচ।
এর মধ্যে নুরুলের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়ে রিয়াদের সেই ম্যাচ জেতানোর ছক্কার পরও। সব মিলিয়ে নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় বাংলাদেশ। রোববার যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।
Discussion about this post