আগের দিনই ব্যাটসম্যানরা দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে দলে কোনাঠাসা অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। শুক্রবারও সেই একইভাবে আত্মাহুতির মিছিলে সামিল হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এভাবে ২০ বলের মধ্যে ৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অলআউট। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১ম ইনিংসে ১১০ রানে অলআউট বাংলাদেশ। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এটি টাইগারদের সর্বনিম্ম সংগ্রহ। এমন কী সব দল মিলিয়েই সবচেয়ে কম রান।
পরিসংখ্যান বলছে- গত প্রায় ১০ বছরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস। আগের দিন শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ২২২ রানে। ১ম ইনিংসে সফরকারীরা ১১২ রানের লিডে শুরু করে বেশ ভাল লক্ষ্য দাঁড় করাল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০০ রান। রোশেন সিলভা ৫৮ ও সুরঙ্গা লাকমল ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
২য় ইনিংসে ৩১২ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ইনিংসে কখনও তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট জর্জেসে।
শুক্রবার ২য় দিনে ৪ উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ-লিটন দাসের ব্যাটে বিপর্যয় এড়ানোর পথ খুঁজছিল দল। লিটন পারলেন না। এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিরাজ বেশ লড়ছিলেন। দুজনের জুটিতে দলের রান পেরিয়ে যায় একশ। কিন্তু এরপরই আকিলা দনঞ্জয়ার দারুণ একটি বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড মাহমুদউল্লাহ। এরপর দলে ফেরা সাব্বির রহমান চট জলদি ধরেন সাজঘরের পথ।
আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলামও পত্রপাঠ বিদায়! মুস্তাফিজুর রহমান তাদের অনুসরন করলে এক প্রান্তে অপরাজিতই থাকলেন মিরাজ (৩৮)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২২২/১০ ও ২য় ইনিংসে ২০০/৮
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৫.৪ ওভারে ১১০(আগের দিন ৫৬/৪)(লিটন ২৫, মিরাজ ৩৮*, মাহমুদউল্লাহ ১৭, সাব্বির ০, রাজ্জাক ১, তাইজুল ১, মুস্তাফিজ ০; লাকমল ৩/২৫, পেরেরা ২/৩২, দনঞ্জয়া ৩/২০, হেরাথ ০/৩১)।
Discussion about this post