রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয়। প্রতিপক্ষ দলকে উড়িয়ে দিয়ে আগেই পেয়ে গেছে ফাইনালের টিকিট। তারপরও মাশরাফি বিন মর্তুজার দল হালকা মেজাজে নেই। বৃহস্পতিবার জয়ে চোখ যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। তাদের হারিয়ে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিতে চায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়, মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবার ৯১ রানের দাপুটে জয়ের পর মাঝে একদিনের বিরতি পায় বাংলাদেশ। বুধবার কোনো অনুশীলন করেনি টাইগাররা। বেশিরভাগ সময় স্বাগতিকরা কাটিয়েছেন টিম হোটেলেই। তাই বলে বাংলাদেশ দলকে নির্ভার ভাবার কারণ নেই। ভেতরে-ভেতরে সবাই এরইমধ্যে আরেকবার শ্রীলঙ্কা-বধের ছক আঁকছেন।
টাইগারদের একটাই লক্ষ্য-শিরোপা জেতা। যদিও বেশ আগেই দলটি এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রেখেছে। তারপরও নিজেদের মোটেও নির্ভার ভাবছে না স্বাগতিকরা। টিম হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ‘কালকের (আজকের) ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আলাদা একটা ম্যাচ। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে দলকে বড় দল হতে হলে এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি টাইগারদের। খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বড় দল হতে গেলে আরও অনেক কিছু লাগবে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনাও করি। সামনে আরও ভালো করতে চাই। কাল যেমন সুযোগ ছিল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রমাণ করার। সেটা হয়নি। বড় দলগুলো এটাই করে। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে পরের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব থাকে। বড় দল হতে গেলে এগুলো ঠিক করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলেই আমরা বড় দল হবে।’
এদিকে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল বেশ গুরুত্বই দিচ্ছেন ম্যাচটাকে। কারণ ফাইনালে যেতে হলে যে জয় চাই তাদের। বাজেভাবে হারলে জিম্বাবুয়ে উঠে যেতে পারে ফাইনালে। এর আগে মাশরাফিদের সমীহ করে চান্দিমাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দলটা অসাধারণ। তাদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে। তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। মূল ব্যাপার হলো সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ৮-১০ বছর হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। আমার মনে হয় এটাই তাদের বাড়তি সুবিধা।’
Discussion about this post