নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েই থামলেন মুমিনুল হক। ১৬৯ রানে অপরাজিত থেকে বুধবার ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। সকালে প্রথম সেশনেই তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। যা কীনা প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ‘ডাবল’ সেঞ্চুরি। তারপর বিসিএলে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের এ ব্যাটসম্যান ২৫৮ রান করে আব্দুর রাজ্জাকের বলে এলবিডব্ল হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
ম্যাচে সাফল্য পেয়েছেন বিকেএসপিরই আরেক ছাত্র জাকির হাসান। ১১৯ রান করেন তিনি। তারপর প্রথম ইনিংসে ৫৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ইসলামী ব্যাংক পূ্র্বাঞ্চল।
তবে আলোচনায় ছিলেন শুধুই মুমিনুল। বিকেএসপিতে সাবলীল ধাঁচে খেলেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল থেকে ৩১ রান দূরে ছিলেন। বিসিএলের ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় দিনেই লক্ষ্য পূরণ করে ফেললেন তিনি। বুধবার দাপটে পৌঁছে যান ল্যান্ডমার্কে। ২০০ করতে মমিনুল খেলেন ২৫৫ বল। ছিল ১৯টি চার ও দুটি ছয়ের মার।
বিসিএলে পূর্বাঞ্চলের হয়ে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে মঙ্গলবার শেষে ১৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল। বুধবার প্রথম পানি পানের বিরতির একটু পরে ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেন এই ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল তুলে নিতে জাতীয় দলের এ ব্যাটসম্যান খেলেন ২৫৫ বল। শেষ অব্দি ২৩ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ২৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২০১৫-১৬ মৌসুমে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিলেন চট্টগ্রামের এই ব্যাটসম্যান।
Discussion about this post