দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর আবারো ক্রিকেটে ফিরলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ব্যাট হাতে অবশ্য তেমন কোন ইনিংস খেলা হল না! যদিও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তার দল। ঢাকা পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ওপেনার। আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জিতেছে তার দল। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৬ উইকেটে।
ম্যাচে অবশ্য নেতৃত্বে দেখা যায়নি তাকে। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ নবী। এমনিতে কুমিল্লা অপেক্ষায় ছিল তামিমের। ইনজুরির কারণে বিপিএলের পঞ্চম আসরের প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফিট হয়ে মঙ্গলবার মাঠে ফেরেন তিনি। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চিটাগংয়ের ছুড়ে দেয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ইনিংস ওপেন করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন তামিম। দিলশান মুনারাবিরার করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পুল শট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে শুভাশিষ রায়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ১০ বলে মাত্র ৪ রান করেন তামিম।
তবে দাপুটে ক্রিকেট খেলেই জিতল তার দল কুমিল্লা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ১৩৯ রান করে চিটাগং ভাইকিংস। শেষদিকে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের ১১ বলে ১৬ ও ক্রিস জর্ডানের ৯ বলে ১৬ রান করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে লুক রঞ্চির ব্যাট থেকে। সৌম্য ২০ ও মুনাবীরা ১৯ রান করেন। জবাব দিতে নেমে ইমরুল কায়েস ও জস বাটলারের ব্যাটে পথ খুঁজে নেয় কুমিল্লা। ইমরুল ৪৫ ও বাটলার ৪৬ রান করেন।
৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে কুমিল্লার পয়েন্ট এখন ৬। ৫ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ে সমান পয়েন্ট রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসেরও।
টস- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৩৯/৪ (রঞ্চি ৩১, সৌম্য ৩০; রশিদ ১৭/১, নবী ১৯/১)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৮.১ ওভারে ১৪০/৪ (ইমরুল ৪৫, বাটলার ৪৪; সানজামুল ১৪/২, মুনাবীরা ১৭/২)
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে জয়ী।
Discussion about this post