বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্মরণীয় দিন ১০ নভেম্বর। ২০০০ সালের এই দিনে টেস্টের অভিজাত অঙ্গনে পা রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রতিপক্ষ ভারত। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শীতের সকালে টস করতে নামেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। সেই পথ ধরে টেস্ট ক্রিকেটে ১৭ বছর পার করে ১৮ তে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শীতের সকালে নাইমুর রহমান দূর্জয়ের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। ইতিহাসে দেখা গেল প্রথমবারের মতো দুই বাঙালির টস। শুরু হল নতুন পথ ভূবনে পথচলা। টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে ভারতকে চমকে দেয় বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বুলবুল ইতিহাস গড়ে করেন ১৪৫ রান। হাবিবুল বাশারের ব্যাটে ৭১ রান। চমকে যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
এরপর দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিকের স্পিন যাদুতে ৪২৯ রানে অলআউট ভারত। মাত্র ২৯ রানের লিড নেয় সফরকারীরা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগাররা শেষ মাত্র ৯১ রানে। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
২০০৫ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ।
এরপর গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ মাত্র ৯৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে ৮টিতে। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দলকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। একইসঙ্গে টেস্টে ব্যাক্তিগত অর্জনও আকাশ ছোঁয়া টাইগারদের।
২০০০ থেকে ২০১৭ এই পর্যন্ত ১৭ বছরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১০৪টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১০টি, হেরেছে ৭৯টি আর ড্র করে ১৫টি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (১৮টি)। টেস্টে সবচেয়ে বেশি শতক তামিম ইকবালের (৮টি)। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস সাকিব আল হাসানের (২১৭, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে)।
আর সাদা পোশাকে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিবের (৫১ ম্যাচে ১৮৮ উইকেট)। দেশকে সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহীম (৩৪টি)। সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল(৬১টি)।
Discussion about this post