এখনো খবরটি বাতাসে মিলিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গত বুধবার শুভাশিস রায়ের সঙ্গে মাশরাফি বিন মুর্তজার কথার লড়াই নিয়ে আলোচনা চলছেই। যদিও দু’জন দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভক্তরা মাশরাফির কথা শুনে আপাতত চুপ। এবার নড়েচড়ে বসেছেন কর্তারাও। ঐ ঘটনায় জন্য তাদেরকে সতর্কতা করেছে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বুধবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের ১৭তম ওভারে ঘটল এই ঘটনা। শুভাশিস দারুণ ইয়র্কার আটকে দিলেন ব্যাটসম্যান মাশরাফি। নিজের বলে ফিল্ডিং করেই বল মাশরাফির দিকে ছুড়ে মারতে উদ্যত হলেন শুভাশিস। মাশরাফি হাত ইশারায় যা বললেন, তার ,মানে দাঁড়ায়-, ‘যাও বল করো’।
এরপরই রেগে উঠেন শুভাশিস! চমকে দিয়ে তেড়ে যান রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফির দিকে। জুনিয়র ক্রিকেটারের এমন আচরণে বিস্মিত মাশরাফি। শুভাশিস তারপরও থামেন না। সতীর্থরা হাত-পা ছুড়ে গর্জে চলে। সতীর্থরাও যেন থামাতে পারছিলেন না তাকে। এনিয়ে সরব হয়ে উঠে সোশাল মিডিয়া। সবাই শুভাশিসের সমালোচনায় মাতে। তবে মাশরাফি ভক্তদের এই বিষয়টা ভুলে যেতে বলেন।
এ অবস্থায় ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ জানিয়েছেন, দুই খেলোয়াড় নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন। ম্যাচ শেষে দুই খেলোয়াড়কে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।‘তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন গ্রহণ করা হয়নি। “সফট ওয়ার্নিং” করা হয়েছে। এটা দুজনের জন্য শেষ সতর্কতা। মাঠে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দুজনেরই অপরাধ ছিল। “হিট অব দ্য মোমেন্টে” ঘটনা ঘটলেও তারা দুজনই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। মাশরাফিকে নিয়ে বলার কিছু নেই। তাকে বোঝানোরও কিছু নেই। শুভাশিসও ভালো। তার পূর্বে শৃঙ্খলা-ভঙ্গের কোনো রেকর্ড নেই। এ কারণে আমরা তাকে সতর্ক করেছি। মাঠের আম্পায়ারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে।’
বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষে শনিবার শুরু হবে বিপিএলের ঢাকা পর্ব।
Discussion about this post