দুই দিন যে উইকেটে রান উৎসবে মেতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেখানেই কীনা রান তুলতে ভুলেই গেল টাইগারদের টপ অর্ডার। একের পর এক ব্যাটসম্যানের আত্মহুতি। ৪৯ রান তুলতে শেষ চার উইকেট। এরপর ৬৫ রানে ৬ ব্যাটসম্যানের বিদায়। শেষ বিকেলে স্রোতের বিপরীতে লিটন দাস হাল না ধরলে আরেকটি লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তার হাফসেঞ্চুরিতেই একশ পেরােয় দল। আর ব্লুমফন্টেইন টেস্টের ২য় দিন শেষে শনিবার বাংলাদেশ ১৪৭ রানে অলআউট। স্বাগতিকদের ১ম ইনিংস থেকে .৪২৬ রান পিছিয়ে তারা।
দিনের মাঝামাঝিতে ৪ উইকেটে ৫৭৩ রান তুলে ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। শতরান করেন হাশিম আমলাও। প্রথম দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও এইডেন মার্করাম। আর তাতেই পিষ্ট বাংলাদেশ।
আমলা শনিবার ১১৩ বল খেলে ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি করেন। এই শতরানে স্বদেশী গ্রায়েম স্মিথকে টপকে গেছেন তিনি। দেশের হয়ে তার বেশি সেঞ্চুরি রয়েছে শুধু জ্যাক ক্যালিসের। ৪৫টি। ১১৭ টেস্টে ২৭ সেঞ্চুরি ছিল স্মিথের। আমলা ১০৯ টেস্টে তাকে টপকালেন। গতকাল তিনি ১৬৩ বলে ১৩২ রান করে আউট তিনি। টাইগারদের হয়ে সফল শুভাশিস রায় ১১৮ রানে ৩ উইকেট নেন। অন্য বোলাররাও সবাই রান দিয়েছেন একশোর ওপরে রান।
জবাব দিতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়া পেসারদের সামনে একের পর এক ব্যাটসম্যান অহসায় আত্ম সমর্পন করেছেন। ইমরুল কায়েস আর লিটন দাস যা একটু লড়েছেন। এরমধ্যে ইমরুল ফিরেন ২৬ রানে। ৯ চারে ৫৩ বলে ফিফটি করেন লিটন। ষষ্ঠ টেস্টে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। আগেরটিও ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। ৭০ রানে ফিরে যান লিটন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২০ ওভারে ৫৭৩/৪(এলগার ১১৩, মারক্রাম ১৪৩, আমলা ১৩২, বাভুমা ৭, দু প্লেসি ১৩৫*, ডি কক ২৮*; মুস্তাফিজ ০/১১৩, শুভাশিস ৩/১১৮, রুবেল ১/১১৩, সৌম্য ০/২১, তাইজুল ০/১৪৫, মাহমুদউল্লাহ ০/৩৫, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/১৬)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ১৪৭/১০ (ইমরুল ২৬, লিটন ৭০, তাইজুল ১২; রাবাদা ৫ / ৩৩ , অলিভিয়ের ৩/৪০)
Discussion about this post