সিরিজের প্রথম টেস্ট যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকেই যেন শুরু করল দ্বিতীয় টেস্ট। সেই একই দৃশ্যপট। ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্ধী দল। ব্লুমফন্টেইন টেস্টে টস জিতে বোলিং নিয়ে শুক্রবার প্রথম দিনের পুরোটাই বাংলাদেশের হতাশায় কেটেছে। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রথম দিনই তুলেছে ৪২৮ রান। উইকেট হারিয়েছে মাত্র তিনটি।
এই উইকেটে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয়ার কথা বলেছিলেন বিশ্লেষকরা, টাইগার অধিনায় মুশফিক তাই করেছিলেন। কিন্তু লাভ হল না। গোটা দিনভর রাজত্ব চলেছে প্রোটিয়াদের। আর দিন শেষে ৯৯ বলে ৮৯ রানে আমলা, ৯২ বলে ৬২ রানে দু প্লেসিস অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ উইকেটে দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে করেছেন ১৪০ রান। তারও ঠিক ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন।
টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৮ রানের বেশি আছে আরেকটি ইনিংসে। ২০০৫ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা করেছিল ৭ উইকেটে ৪৪৯ রান। ১৯১০ সালে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯৪ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে বোলিং নেয়াটাও এবারও যে ভুল ছিল সেটা দেখা গেল। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডিন এলগার ও মারক্রাম গড়েছেন ২৪৩ রানের জুটি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুজনই। এরমধ্যে এলগারের ব্যাটে এসেছে দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। টানা দুটো শতরান তার ব্যাটে। আগের টেস্টে ৯৭ রানে ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মিলল প্রথম শতরান।
শুক্রবার বাংলাদেশের হাতে সাফল্য ধরা দেয় চা-বিরতির পর। বোলিংয়ে কিছুটা হলেও প্রাণ আসে। সাজঘরে ফিরেন মারক্রাম ও বাভুমা।যদিও চাপে ফেলা যায়নি স্বাগতিকদের।
দলে জায়গা পাওয়া শুভাশিস রায় নিয়েছেন ২ উইকেট। স্পিনার তাইজুল ইসলাম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননিঅ। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ১৯ ওভারে রান দিলেন ৯৮। একটিও মেডেন পাননি ।
সন্দেহ নেই এই টেস্টেও চাপে থাকল টাইগাররা। দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে হয়তো ইনিংস হার অপেক্ষা করছে এখানে। সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের কাছে মুশফিকুর রহীমের দল হেরেছিল ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৪২৮/৩ (এলগার ১১৩, মারক্রাম ১৪৩, আমলা ৮৯*, বাভুমা ৭, দু প্লেসি ৬২*; মুস্তাফিজ ০/৭৮, শুভাশিস ২/৮৫, রুবেল ১/৯১, সৌম্য ০/২১, তাইজুল ০/৯৮, মাহমুদউল্লাহ ০/২৭, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/১৬)।
Discussion about this post