ওভাল টেস্টের আগে সমালোচনাতেই পুড়ছিলেন তিনি। সেই জবাবটাই এবার দিলেন শেন ওয়াটসন। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৭ রান। যাতে ১৭৬ রান করেছেন তিনি। টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। দিন শেষে ক্রিজে রয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ৬৬ ও পিটার সিডল ১৮ রানে।
বুধবার টস জিতেই ওভালে ব্যাটিং নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। কিন্তু তিনি নিজে কিন্তু রান পাননি। ৭ রানেই ইংল্যান্ড পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড। এর আগে ওপেন করতে নেমে ১১ রানের মাথাতেই প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অ্যান্ডারসনের বলেই ব্যক্তিগত ৬ রানে উইকেটকিপার ম্যাট প্রায়রের গ্লাভসে তালুবন্দি হন ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটেই ইনিংস মেরামতের দায়িত্বে নামেন ক্রিস রজার্স এবং ওয়াটসন। রর্জাস রয়েসয়ে খেললেও ওয়াটসন ছিলেন মারমুুখী। লাঞ্চের সময় অজিদের রান ছিল ১ উইকেটে ১১২। তার মধ্যে ওয়াটসনই অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে। রজার্সের ২০। লাঞ্চের পর স্পিনার গ্রায়েম সোয়ানের বলে ট্রটের হাতে স্লিপে ক্যাচ আউট হন রজার্স, ২৩ রানে। ভেঙে যায় ১০৭ রানের জুটি। নামেন ক্লার্ক। তারবাদেই মাত্র ১১৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়াটসন। মারের বহরটা বোঝাতে এটাই যথেষ্ট যে, তার মধ্যে ছক্কা ছিল ১ এবং বাউন্ডারি ১৬টি। কিন্তু তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি ক্লার্ক। অজি অধিনায়ককে ফিরিয়ে দিয়ে টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি হিসেবে উঠে এসেছেন অ্যান্ডারসন। আপাতত তার টেস্ট উইকেট সংখ্যা ৩২৬। পেছনে ফেলেছেন সাবেক পেসার বব উইলিসকে। যিনি টেস্টে উইকেট পেয়েছেন ৩২৫টি। ক্লার্ক ফিরে গেলে ফের জুটি বাঁধেন স্মিথ এবং ওয়াটসন। দু’জন তোলেন ১৪৫ রান। দুর্ভাগ্য ওয়াটসনের। হাঁটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ব্রডের বলে বাউন্ডারি লাইনে পিটারসেনের অনবদ্য ক্যাচে পরিণত হলে সে স্বপ্ন ভাঙে অজি অলরাউন্ডারের।
এ টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে পেসার ক্রিস ওকস ও বাঁহাতি স্পিনার সাইমন কেরিগানের। ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছেন পেস বোলার অলরাউন্ডার জেমস ফকনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৩০৭/৪ (রজার্স ২৩, ওয়াটসন ১৭৬, স্মিথ ৬৬ ব্যাটিং, সিডল ১৮ ব্যাটিং; অ্যান্ডারসন ২/৫২)।
Discussion about this post