মাঠে নামলে সেরাটা দিতে কাপন্য করেন না তিনি। তার কমিটমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠেনি। কিন্তু সেই নিবেদিত প্রাণ মুশফিকুর রহীম ক্রিকেটারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বরিশাল বুলসের স্বত্বাধিকারী আবদুল আউয়াল চৌধুরী ভুলু। অভিযোগ শুনে রীতিমতো বিস্মিত দলটির সাবেক আইকন ক্রিকেটার চোখের জল ফেললেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তারা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাশে আছে টেস্ট অধিনায়কের।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কথা বলতে গিয়ে কন্ঠরোধ হয়ে আসছিল মুশফিকের। দুঃখ চেপে না রাখতে পেরে কাঁদলেনও তিনি। একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই তিনি সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হন। বুলসের হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৭.৮৮ গড়ে ৩৪১ রান করা এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে আমি জাতীয় দলে খেলছি। আমার সম্পর্কে এমন অভিযোগ এর আগে কখনও ওঠেনি। তিনি আমাকে খারাপ খেলোয়াড় বলতে পারেন; কিন্তু আমাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতে পারেন না। আমি আশা করবো, মল্লিক ভাইয়েরা বিষয়টা দেখবেন। আমি তাদেরকে জানিয়েছি। আমার সঙ্গে হয়েছে, সামনে যে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে হবে না, তার গ্যারান্টি কি? এইটুকু সম্মান তো একজন খেলোয়াড় পেতেই পারেন।’
এই ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিসিবি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা জানালেন, ‘আউয়াল চৌধুরীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মুশফিকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তাকে। আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে বুলস মালিককে।’
এরইমধ্যে আমরা আব্দুল আউয়াল চৌধুরিকে তলব করেছে বিসিবি। উল্লেখ্য দুইদিন আগে একাধিক বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুশফিকের বিরুদ্ধে গত বিপিএলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। সে সময় তিনি তার নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন!
Discussion about this post