ভুলতে চাইলেও কিছুতেই সেই দূর্ঘটনার কথা মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না আব্দুর রাজ্জাক। ঘুমের মধ্যেও যেন সেই ঘটনা তাড়া করে ফিরছে তাকে। গত মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তার প্রাইভেট কারটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকায় আসতেই ঘটে দূর্ঘটনা। গাড়ির চাকা ফুটো হয়ে পড়ে যায় খাদে। তাতে মারাত্মক আহত হয় রাজ্জাকের ছেলে। চোট পান স্ত্রী ও রাজ্জাক নিজে। ।
ভাগ্য প্রসন্ন, অল্পতে রক্ষা। নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন শেষে ফিরতে গিয়ে এমন দূর্ঘটনা! সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও তা ভুলতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের এ তারকা ক্রিকেটার।
শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন রাজ্জাক। বারবারই চোখের সামনে সেই দৃশ্য ভেসে উঠছে। রাজ্জাক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জাবলেন, ‘এটা এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। চোখ বন্ধ করলেই ভাসছে দুর্ঘটনার সেই স্মৃতি। রাস্তায় যেতে পারছি না। গাড়ি দেখলেই কেমন ভয় লাগছে।’
এখানেই শেষ নয়, জানালেন, চোট বেশ মারাত্মক। বলেন, ‘হার্মস্ট্রিংয়ে যে চোট লেগেছে, সেজন্য ঢাকায় গিয়ে ফিজিওর সঙ্গে দেখা করবো। দেখাবো যে কী অবস্থায় আছি। আমার মনে হয় এই ইনজুরির পরিচর্যা ঢাকায় করালেই ভালো হবে।’
রাজ্জাক মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরেছেন। বললেন, ‘সত্যি বলতে কী বেঁচে থাকার মতো কোনো অবস্থায় ছিলাম না আমি। বেঁচে থেকে এখন মৃত্যুকে অনুভব করছি। আমার মনে হয় না, মানুষের জীবনে এর চেয়েও বড় কোনো দুঃস্মৃতি থাকতে পারে।’
বলা দরকার, জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও এই স্পিনার ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেই মতোই দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন।
Discussion about this post