খালেদ মাসুদ পাইলট
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেশ ভাল লাগে আমার। সময় পেলেই প্রানভরে জীবন উপভোগের গল্পে মেতে উঠি আমি। সেই গল্পে সব কিছুই থাকে। খেলা, রাজনীতি, বিনোদন, পাগলামি সব, সব কিছু! তাইতো বন্ধুরা আমার সানিধ্য পেতে মুখিয়ে থাকে। ওরা আমায় পেলে যেন চনমনে হয়ে উঠে। আমার রসবোধ, গল্প নাকি ওদের ভাল লাগে। খেলা ছাড়ার পর বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বা। নতুন নতুন বন্ধু পেয়েছি আমি।
তবে সেই ছোটবেলার বন্ধুরাই বুঝি সেরা। ওরাই বুঝি আমার প্রানের মানুষ! যখন একা থাকি, যখন আমার আমিকে নিয়ে ভাবি- তখন সেই ছোট্টবেলায় ফিরে যাই আমি। স্মৃতির বারান্দায় হেটে হয়ে উঠি নষ্টালজিক। ওদের সঙ্গেই আমি আমার জীবনের সেরা সময়গুলো কাটিয়েছি। সেই স্মৃতিই আমাকে প্রতি মুহুর্তে চাঙ্গা রাখছে। কখনো কখনো বসে ভাবি ফের যদি ফিরে পেতাম হারানো সেই দিনগুলো!
সত্যি বলতে কী ক্রিকেটের বাইরে একটাই নেশা ছিল আমার -সিনেমা দেখা। ছোট বেলায় অবশ্য ব্রুসলি আর ড্রাগনের মুভি নিয়েই ছিল বেশি উন্মাদনা। আসলে মফস্বলের অন্য আট-দশজন কিশোরের মতোই ছিল আমার শৈশব। দুরন্তপনায় ঠাসা আমাদের সকাল, দুপুর আর বিকেল! আমরা বন্ধুরা মিলে ভিসিআরে তখন ব্রুসলির ছবি দেখতাম। ভাড়া কওে নিয়ে আসতাম ভিসিআর-ক্যাসেট। রাতভর চলতো সিনেমা দেখা। খাওয়া-দাওয়া, ঠিক পিননিক আমেজ। আগে থেকে চাদা তুলে নিতাম আমরা। তখন ইংলিশ সিনেমার নেশায় পেয়ে বসেছিল আমাদের। সিনেমা দেখতাম আর ব্রুসলি-ড্রাগনের স্টিকার সংগ্রহ করতাম।
Discussion about this post