জাতীয় দলে জায়গা পেয়েও তা হারিয়েছেন। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ জায়গা হয়নি। কিন্তু ফেরার লড়াইয়ে হাল ছাড়েন নি নাসির হোসেন। রান তুলেই যাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সমান তালে কথা বলছে তার বল-ব্যাট। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে শুক্রবার সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিলেন। তার দুর্দান্ত নৈপুন্যে ৬ উইকেটে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এই জয়ে শিরোপার আরো কাছে চলে গেল তার দল।
দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামালের ছুড়ে দেওয়া ২৪৩ লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখেছে টপকে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারে নেমে আসা আরেক ম্যাচে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে পারটেক্সে স্পোর্টিং ক্লাব হেরেছে ৩২ রানে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুক্রবার বল হাতে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন নাসির হোসেন। আবাহনী লিমিটেড অলআউট হয় মাত্র ১৫৬ রানে। জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন তিনি। খেলেন ৯২ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৩.২ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
এবার নাসির ব্যাট হাতে গড়লেন অনন্য কীর্তি। এখন পর্যন্ত লিগে তার রান- ১০৬*+৪১*+১৫*+৬৪+১৩৪*+৬১*+৫৬* = ৪৭৭। এই ৭ ম্যাচে একবার মাত্র আউট হওয়ার কারণে তার ব্যাটিং গড় ৪৭৭.০০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৪১.২ ওভারে ১৫৬ (সাইফ ০, সাদমান ০, নাজমুল ১১, মিঠুন ২৮, লিটন ৩০, আফিফ ৩২, শুভাগত ২৩, মনন ১, সাইফউদ্দিন ৯*, সাকলাইন ৯, জায়েদ ০; হায়দার ২/২৪, হোসেন ১/২৩, মেহেদী ৩/৩০, আবরার ১/৩৫, নাসির ৩/৩৬)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৬.৪ ওভারে ১৫৭/৪ (এনামুল ৪১, মুনিম ০, মুমিনুল ২১, নাসির ৫৬*, জহুরুল ৭, নাদিফ ২৬*; মনন ২/৪০, সাকলাইন ০/২৮, শুভাগত ১/২৭, আফিফ ০/১৩, জায়েদ ০/২৫, সাইফউদ্দিন ১/২২)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাসির হোসেন
Discussion about this post