অবশেষে সেই চেনা বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া গেল। প্রথম ম্যাচে টেনেটুনে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে তীরে এসে তরে ডুবল। দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামা দলটিকে নিয়ে সমালোচনায়ও মাতলেন অনেকে। তবে অলিখিত ‘ফাইনাল’ হয়ে উঠা ম্যাচে ঠিকই নিজেদের দেখিয়ে দিল টাইগাররা। আগের সব ভুল দুরে সরিয়ে রেখে শনিবার একপেশে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১৪১ রানে সফরকারীদের হারাল বাংলাদেশ।
এদিন শততম ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সিরিজটাও জিতে নিল টাইগাররা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ মাশরাফিদের। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে- টানা ষষ্ঠ ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ৩১৫তম ম্যাচে এসে ওয়ানডেতে এসে একশতম জয়।
মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেঘ-রোদের লুকোচুরির মধ্যে টস ভাগ্য ছিল মাশরাফি বিন মুর্তর্জার পক্ষে। শুরুতে ব্যাটিং নিতে দেরি করেননি টইগার অধিনায়ক। স্বাগতিকরা ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৭৯ রান। জবাব দিতে নেমে ৩৩.৫ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট আফগানিস্তান। শেষ দিকে দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে মাঠে এক মাশরাফি ভক্ত ঢুকে পড়লে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
সাড়ে আট বছর পর ফেরাটাকে মোশাররফ হোসেন রুবেল বল হাতে স্মরণীয় করে রাখেন। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে খেলা এই ক্রিকেটার এদিন নেন ২৪ রানে ৩ উইকেট। ২ উইকেট তাসকিনের।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৩ রানে সৌম সরকারকে (১১) হারায় বাংলাদেশ। তবে সেই ধাক্কা সাব্বির রহমানকে নিয়ে দারুণ সামাল দেন তামিম ইকবাল। তামিমের ব্যাটে যখন মাত্র ১ রান তখন জীবন পান। এরপর সেটাকে সেঞ্চুরি বানিয়ে ফেলেন এই ওপেনার।
দৌলত জাদরানের করা ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। ১১০ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ১০টি চার হাঁকান তামিম। ১১৮ বলে ১১৮ রান করেন তিনি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে করেছিলেন ৮০ রান। দ্বিতীয়টিতে ২০।
সাব্বির ৭৯ বলে খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। মাহমুদউল্লাহ (২২ বলে ৩২)।
আফগানদের হয়ে মোহাম্মদ নবি ৪১ রানে নেন ২ উইকেট। আরেক স্পিনার রশিদ খান ৩৯ রানে শিকার করেন সমান উইকেট।
টানা ৬টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। যেখানে ছিল জায়ান্ট দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত। আবার জিম্বাবুয়েকে দু’বার সিরিজ হারিয়েছে দল। এবার মিশন ইংল্যান্ড। ৭ অক্টোবর মিরপুরে তাদের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে।
Discussion about this post