শাহাদত হোসেন রাজীব এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছুদিন আগেই। সেই মামলা নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। যে গৃহকর্মী অভিযোগ তুলেছিল সেই কিশোরী এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। বুধবার আদলতে সেই মেয়েটি জানায় ‘আসামিরা আমাকে কোনো রকম খুন্তির ছ্যাঁকা দেননি। আগে মানুষের পরামর্শে এই মামলা করি।’
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহানের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ কথা বলে নির্যাতিতা গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১)।
গৃহকর্মী মাহফুজা আদালতকে বলে, ‘আমি ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় কাজ করতাম। ৭ মাস কাজ করেছিলাম। কাজ করতে ভালো লাগত না। এ জন্য শাহাদাতের স্ত্রী বকাঝকা করত। দুর্ঘটনায় আমার পা ভেঙে যায়। এ জন্য চিকিৎসা নিই। আসামিরা আমাকে কোনো রকম খুন্তির ছ্যাঁকা দেননি। আগে মানুষের পরামর্শে এই মামলা করি। আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। আমি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডাক্তারের কাছে কিছু বলছি কি না, আমার মনে নেই।’
বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল ৩১ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদাত থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার সেই শিশু গৃহকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ করল, রাজীব ও তার স্ত্রী তার ওপর নির্যাতন চালাতেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে মিরপুর ২ নম্বরের স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে। শিশুটি জানায়, ‘সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় কাজ করতো। প্রায়ই শাহাদাত ও তার স্ত্রী তার ওপর নির্যাতন করতো।
তারপর পালিয়ে ছিলেন শাহাদাত। পরে ৪ অক্টোবর নিত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহাদাত। পরে জেল খেটে দু’জন জামিনে মুক্তি পান।
Discussion about this post