তিনি বিমানবাহিনীর সদস্য। প্রতিরক্ষা এই প্রতিষ্ঠানে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই চাকরি করছিলেন ইবাদত হোসেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পেসার হান্ট প্রজেক্ট সেই চাকরি থেকে স্বপ্ন পূরনের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। রবি ফাস্ট বোলার হান্ট থেকে জায়গা জায়গা করে নিয়েছেন বিসিবি হাই পারফর্মেন্স ইউনিট ক্যাম্পে (এইচপি)।
আর সুযোগ পেয়ই তুলেছেন গতির ঝড়। এইচপির বোলিং পরামর্শক আকিব জাভেদের নজর কেড়েছেন তিনি। মৌলভীবাজারের ছেলে ইবাদত হোসেন পেশায় বিমানবাহিনীর সৈনিক। এবার ঘণ্টায় ১৩৮ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ইবাদত হোসেনের প্রশংসা করেন আকিব জাভেদ। তাকে দেখে আকিবের মনে পড়ছে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের কথা। ৭ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ইরফানকেও লিকলিকে শরীরে দেখেছিলেন তিনি। আকিব জানালেন ২৩ বছর বয়সী ইবাদতের ফিটনেস নিয়ে কাজ করলে হতে পারেন বাংলাদেশের সম্পদ।
সেই উদীয়মান ক্রিকেটারটি আকিব জাভেদের মতো তারকা প্রশংসা পেয়ে খুশি। জানালেন, ‘আকিব জাভেদ প্রথম যেদিন এসেছেন সেদিন তিনি আমাদের সঙ্গে গতি, রানআপ নিয়ে কাজ করেছেন। ব্যাখ্যা করলেন কিভাবে বোলিংয়ের গতি বাড়াতে হয়। এরপর সুইং, ভেরিয়েশন এবং শেষ দিন রিভার্স সুইং নিয়ে কাজ করেছেন।’
জানালেন এখন তার বোলিং স্পিড ঘন্টায় ১৩৯/৯ কিমি। বললেন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিমানবাহিনীর দারুণ সমর্থন পাচ্ছেন। তার কথা, আসলে এখানে আসার পর বুঝতে পারলাম ক্রিকেট অনুশীলন নিয়মিত করতে হবে। আমি এয়ারফোর্সে চাকুরী করি। তারা শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিল, যখনই ছুটির দরকার ছিল, বা বিসিবি ডাকছে বা কোন ক্লাব লেভেলে খেলতে গেছি তারা আমাকে সাহায্য করেছে। এয়ারফোর্স তোমাকে ছাড়বেও না। এটা অনেক বড় হাইলাইটস হয়ে গেছে। এটা আমাকে অবশ্যই করতে হবে কারণ এয়ারফোর্সের কারণে এখানে আসতে পারছি আমি। তারা সুযোগ না দিলে এখানে আসতে পারতাম না।’
Discussion about this post