অবশেষে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পাচ্ছেন তিনি। এইতো এ মাসের শুরুতেই গৃহকর্মী নির্যাতনের সেই ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। তারপরই নড়েচড়ে বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তা ব্যাক্তিরা। শাহাদাত হোসেন রাজীবকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দিয়েছেন তারা। তবে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকবেন এই পেসার।
এই পেসারের আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার বিসিবি তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেয়।
অবশেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার ছাড়পত্র পেলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) খেলতে আর কোনো বাধা থাকছে না শাহাদাতের। এদিকে শাহাদাতকে দলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এর আগে ২০০৮-০৯ ও ২০০৯-১০ মৌসুমে আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন শাহাদাত। প্রিমিয়ার লিগের ৪ মৌসুম পর আবারো এই ডানহাতি ফিরলেন পুরনো দলে।
এর আগে ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের মামলায় ২ মাস ৮ দিন কারাগারে ছিলেন শাহাদাত। গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে জামিনে রয়েছেন রাজীব।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদাত থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার সেই শিশু গৃহকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ করল, রাজীব ও তার স্ত্রী তার ওপর নির্যাতন চালাতেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে মিরপুর ২ নম্বরের স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে। শিশুটি জানায়, ‘সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় কাজ করতো। প্রায়ই শাহাদাত ও তার স্ত্রী তার ওপর নির্যাতন করতো।
তারপর পালিয়ে ছিলেন শাহাদাত। পরে ৪ অক্টোবর জেসমিন জাহান নিত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহাদাত।
Discussion about this post