ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল। ছিল অগ্রজদের ব্যর্থতার গল্পও। এর আগে তিনবার আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কোনবারই সেই বাধা পেরিয়ে খেলা হয়নি সেমিফাইনাল।
এবার সেই চাপ কাটিয়ে বাংলাদেশের যুবারা গড়ল নতুন এক ইতিহাস। জাকির হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রচিত হল ইতিহাস।। শুক্রবার মিরপুরের শেরেবাংলায় নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠে গেল মেহদী হাসান মিরাজের দল।
সুপার লিগের শেষ আটের লড়াইয়ে টস জিতে ছুটির দিনে ব্যাট করতে নামে নেপাল। তারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলে ২১১ রান। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে হাতে ১০ বল রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় জুনিয়র টাইগাররা। আর তাতেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।
যদিও জয়টা একেবার অনায়াসে আসেনি। নেপাল বেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। মিরাজ-জাকির তেমন দুর্দান্ত একটা জুটি না গড়তে পারলে অন্য কিছুও হতে পারতো।
৭৭ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির। তার ছক্কাতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুবারা। অন্যদিকে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মিরাজ। ১১৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
এই জয় দিয়ে যুব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়েরও রেকর্ড গড়লেন মিরাজ। বাংলাদেশের পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে আসে ৩২। ৩৮ রান করেন জয়রাজ শেখ।
এর আগে নেপালের পক্ষে ব্যাট হাতে সফল অধিনায়ক রাজু রিজাল। তিনি করেন ৭২ রান। এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বয়স চুরির অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে তিনি ২৫ বছর বয়সী। অথচ খেলছেন অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে। তারপরও পুরো টর্নুামেন্টই দারুণ খেলেছে নেপাল। তাদের অধিনায়ক তাইতো বললেন নতুন করে জেগে উঠেছে নেপালের ক্রিকেট।
তবে দিনটা শুধুই বাংলাদেশের যুবাদের। মুশফিক, শুভ আর বিজয় না পারলেও মিরাজ-শান্তরা দলকে নিয়ে গেলেন সেমিতে।
Discussion about this post