গায়ানায় মঙ্গলবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩২ রানে আটকে রেখেও ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৪৭.৫ ওভারে অল আউট হয়ে যায় ১৯৫ রানে। ৩৭ রানে ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকরা সমতা আনল ১-১ ব্যবধানে। দেখা মিলল সেই পুরনো পাকিস্তানের।
ক্যারিবীয়দের ছুড়ে দেওয়া ২৩৩ রানের জয়ের টার্গেট শুরু করে পাকিস্তানের শুরুটা একেবারে মন্দ ছিল না। একসময় ২ উইকেটে ১০৩ রানে পৌঁছে গিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু এমন সুবিধাজনক জায়গায় চলে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহ ১৭ রানে এদিন শততম ওয়ানডে খেলতে নামা ক্যারিবীয় মিডিয়াম পেসার ড্যারেন স্যামির বলে বোল্ড হতেই দলের ফুলানো বেলুন চুপসাতে শুরু করে। তারপর সব হাওয়া বেরিয়ে যায় ১৯৫ রানেই। বারকয়েক জীবন পাওয়া ওপেনার নাসির জামশেদ (৫৪) এবং উমর আকমলের (৫০) হাফসেঞ্চুরি ছাড়া দলের বাকি ব্যাটিং ফের ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচের নায়ক শহিদ আফ্রিদির ব্যাটে জোগান ৫ রান, বোলিংয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট।
সফরকারীদের এমন ডুবিয়ে দেওয়ার মূলে দুই ক্যারিবীয় বোলার। নিজেদের মধ্যে মাত্র ৩৫ রানে ৬ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন স্পিনার সুনীল নারাইন ও অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো। নিজেকে ফিরে পাওয়া নারাইন ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন। ম্যাচ জেতানো এমন বোলিং তাকে এনে দেয় ম্যান অব দ্য ম্যাচেরও পুরস্কার। নারাইনের সঙ্গে মদদ করে যান ব্রাভো। শেষদিকে বোলিং করতে এসে ১.৫ ওভার বোলিং করে ৯ রানে নেন ২ উইকেট। তার বলে আসাদ আলি ২ রানে কায়রন পোলার্ডকে ক্যাচ দিতেই ম্যাচ খতম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৩২/৮, ৫০ ওভার (চার্লস ৩১, ব্রাভো ৫৪, ড্যারেন ব্রাভো ৪৩, পোলার্ড ৩০; আফ্রিদি ২/২৯, আজমল ২/৪৫)।
পাকিস্তান : ১৯৫/১০, ৪৭.৫ ওভার (জামশেদ ৫৪, আকমল ৫০, হাফিজ ২০, শেহজাদ ১৯; নারাইন ৪/২৬, ব্রাভো ২/৯)।
ফল : উইন্ডিজ ৩৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সুনীল নারাইন।
Discussion about this post