শেষপর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল লিটন কুমার দাসের। টানা নয় ম্যাচ টস হেরে খেলার শুরুতে পিছিয়ে পড়ার যে ধারা চলছিল, সেটির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই টস জয় নিছকই পরিসংখ্যান বদলের ঘটনা নয়—-বরং এটি হতে পারে একটি প্রতীকী সূচনা, যেখানে বাংলাদেশ একটি নতুন ছন্দে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। কারণ, কদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে টাইগাররা।
পাকিস্তান ইতিহাসের বিচারে এখনও বাংলাদেশের জন্য একটি কঠিন প্রতিপক্ষ। সর্বশেষ ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে পাকিস্তানের মূল দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নেই। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে একটি জয় এলেও সেটি ছিল দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে। এমন অবস্থায় ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ে চোখ রাখা নিঃসন্দেহে একটি সাহসী ও চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বাংলাদেশ এবার নিজেদের সব শক্তি নিয়েই মাঠে নেমেছে। একাদশে রাখা হয়েছে স্পিন-পেস মিলিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ আক্রমণ। শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেন থাকছেন স্পিন দায়িত্বে, যারা মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেন। পেস বিভাগে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব। এই তিনজনের বৈচিত্র্যময় গতি এবং অভিজ্ঞতা দলের বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। ব্যাটিংয়ে রয়েছে নতুন ও পুরোনো মুখের সংমিশ্রণ—তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারির মতো তরুণরা যেমন আছেন, তেমনি নেতৃত্বে অভিজ্ঞ লিটন দাস।
বাংলাদেশ একাদশ-
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ-
ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, আগা সালমান (অধিনায়ক), হাসান নেওয়াজ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, সালমান মির্জা ও আবরার আহমেদ।
Discussion about this post