অগ্রজরা যেখানে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্ধী হয়ে থাকল সেখানে ব্যাতিক্রম হতে পারলেন না জুনিয়র টাইগাররা। সিরিজের প্রথম যুব ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই তারাই সোমবার তৃতীয় ম্যাচে এসে মাত্র ৭৫ রানেই অলআউট। তারই পথ ধরে দল হারল ৫ উইকেটে। সিলেটের এই রান যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। সর্বনিম্ন ৩৪ রান, যা ২০০৩ সালে লাহোরে যুব এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশের যুবারা।
সোমবার সকালে সিলেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। তারপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দল। এক পর্যায়ে ৩০.৪ ওভারে ৭৫ রানেই শেষ তাদের ইনিংস। ২৫ রান করেন মাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ান। অধিনায়ক সাইফ করেন ২২ রান।
২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেরা বোলার নাভিন উল হক মুরাদ।
এরপর জবাব দিতে নেমে আফগান দল পড়ে বিপর্যয়ে। ১২ রানে সফরকারীদের ৩ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু দারওয়াইশ আব্দুল রসুলের অপরাজিত ৩৫ রানে ১৭.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগান যুবারা।
৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৩০.৩ ওভারে ৭৫/১০ (পিনাক ৬, সাইফ ২২, আফিফ ১, হৃদয় ৫, রাকিব ১, মাহিদুল ২৫, নাঈম ১, অনিক ০, রবিউল ৪; নাভিন ৩/২৪, জাজাই ১/২৪, ওমারাজি ১/৫, মুজিব ১/১০, তারিক ২/১০)।
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯: ১৭.২ ওভারে ৮১/৫ (নাভিদ ৬, ইব্রাহিম ২, তারিক ২, মালিকজাই ৯, রসুল ৩৫*, ওয়াদাত ১৫, ইকরাম ০*; আরাফাত ০/০, অনিক ১/১৪, মনিরুল ১/৩৩, নাঈম ২/২১, আফিফ ১/১০)।
ফল: আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা
ম্যাচসেরা: নাভিন উল হক
Discussion about this post