ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শনিবার জিতেছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, প্রাইম ব্যাংক এবং কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
মোহামেডানের লজ্জা
সেরা সময়টা তাহলে পেছনেই ফেলে এসেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি শনিবার লজ্জায় ডুবল। মাত্র ৬৪ রানে অলআউট তারা। অথচ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচে জিততে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৪৪ রান। কিন্তু সেই সহজ লক্ষ্যটা
পুরন করা হতো হলই না, উল্টো ভরাডুবি হল তাদের। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি ম্যাচ জিতল ৭৯ রানে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে কলাবাগান। স্লো উইকেটে ৩৬.৪ ওভারে তারা তুলে ১৪৩ রান। ৫৯ রান করেন মাহমুদুল। জবাব দিতে নেমে ২৬.৪ ওভারে ৬৪ রানে অলআউট মোহামেডান। দুই অংকের রান করতে পারেন নি কেউ!
মাহমুদুল নেন পাঁচ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি : ১৪৩/১০, ৩৬.৪ ওভার (মাহমুদুল হাসান ৫৯, ইরফান ১৯, ইমতিয়াজ ১৯; অমিত ৪/২৭, নাঈম ৩/৩১)।
মোহামেডান : ৬৪/১০, ২৬.৪ ওভার (সায়েম ৮, আলাউদ্দিন বাবু ৮, অতিরিক্ত ২২; মাহমুদুল হাসান ৫/২৭, বিশ্বনাথ হালদার ২/৮, নাবিল ২/২১)।
ফল : কলাবাগান ৭৯ রানে জয়ী।
হারের বৃত্তে ডিওএইচএস
কিছুতেই ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না ওল্ড ডিওএইচএস। চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই হার। শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তাদের ৪১ রানে হারাল প্রাইম ব্যাংক।
এটি তাদের তৃতীয় জয়।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শনিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৪৯.৩ ওভারে তুলে ২৪১ রান। সৈকত করেন ৯০।
জবাব দিতে নেমে ওল্ড ডিওএইচএস। ৪৩ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ২০০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক : ২৪১/১০, ৪৯.৩ ওভার (সৈকত ৯০, তাইবুর ৫৬; শহীদুল ২/৪৫)।
ওল্ড ডিওএইচএস : ২০০/১০, ৪৩ ওভার (সজীব ৫৭, শাফাক ৩৫, শাহনাজ ৩২; তাপস বৈশ্য ৩/৩২, তাইজুল ২/৭০, ফোরকান ২/১৫, এনামুল জুনিয়র ২/৩৪)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৪১ রানে জয়ী।
শামসুরের ব্যাটে ফের রান
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে রানে ফিরলেন শামসুর রহমান শুভ। আরো একটা হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। চার ম্যাচে চার ফিফটি। তাতেই প্রথম জয় পেল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। তারা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারাল ৭১ রানে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৩৯ রান করে কলাবাগান। ৮২ রান শামসুরের।
জবাব দিতে নেমে পারটেক্স ৪৮.২ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কলাবাগান কেসি : ২৩৯/৬, ৫০ ওভার (শামসুর ৮২, মুবারক ৪২, তাসামুল ৩৪, জুপিটার ৩২; নুরুজ্জামান ২/৩৯, রাজিন সালেহ ২/২৪)।
পারটেক্স : ১৬৮/১০, ৪৮.২ ওভার (শফিউল ৪৫, মেহরাব জুনিয়র ২৯, সিলভা ২৫, নুরুজ্জামান ২৫; রকিবুল ৩/২২, ফজলে মাহমুদ ২/১৩, রাজ্জাক ২/৩০)।
ফল : কলাবাগান কেসি ৭১ রানে জয়ী।
Discussion about this post