অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের জয়ে হাসি ফুটলেও সাকিব আল হাসানের মুখে ছিল কেবল হতাশা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি, কিন্তু সিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেও সেটি রয়ে গেল অধরা। এক ওভার বল করে ১৪ রান খরচ করেছেন, আর ব্যাট হাতে অবদান কেবল ১৩ বলে ১৩ রান।
আজ ম্যাচে বল হাতে সুযোগ পেয়েছিলেন ১৫তম ওভারে। শুরুর তিন বলে মাত্র দুই রান দিয়েছিলেন সাকিব। তবে কুইন্টন ডি কক সুইপে চার মারেন, আর রভম্যান পাওয়েল বিশাল ছক্কায় ওভারের রং বদলে দেন। ১৪ রান খরচের পর আর আস্থা পাননি অধিনায়কের কাছ থেকে। প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকার পর এই ম্যাচেও হাত শূন্য, ফলে দুই ম্যাচ মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪৯৮-তেই থেমে আছে।
ব্যাটিংয়েও মিলল না আলো। ওপেনার জুয়েল অ্যান্ড্রুর বিদায়ের পর চার নম্বরে নেমে মুজিবকে রিভার্স সুইপে এক বাউন্ডারি মারেন সাকিব। ৮ রানে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লং অনে। দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ২৪ রান।
তবে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন অন্যরা। ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও কারিমা গোরে দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ১৯ ও ৩৭ রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রানে দলকে জেতান তিনি। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ছক্কার ঝড়ও ছিল সহায়ক। দুই বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফ্যালকনস।
শেষ পাঁচ ম্যাচে সাকিবের শিকার মাত্র একটি উইকেট, আর শেষ ১৬ ইনিংসে একটি ফিফটি—পরিসংখ্যান তার বর্তমান দুর্দশার প্রতিচ্ছবি। সোমবার ভোরে আবার মাঠে নামবে ফ্যালকনস। সেই ম্যাচেই হয়তো ভাঙতে পারে দীর্ঘ প্রতীক্ষা, নাহলে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক আরও দূরে সরে যাবে।
Discussion about this post